গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
নির্বাচনী বন্ড নিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টের ভিত্তিতে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে এদিন সুর চড়ান কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালাও। ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ‘গোপন অনুদান’ পাওয়ার লক্ষ্যে নির্বাচনী বন্ড চালু করা নিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের আপত্তিকে গুরুত্ব দেয়নি মোদি সরকার। সুরজেওয়ালার ট্যুইট, তথ্যের অধিকার আইনে প্রকাশ হয়েছে, নির্বাচনী বন্ড ‘অজ্ঞাত অনুদানে’র হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। এর ফলে ‘স্বচ্ছ’ অর্থ তছরুপ চলছে। এবিষয়ে সুর চড়িয়ে মোদি সরকারের কাছে তিনটি প্রশ্ন রেখেছেন সুরজেওয়ালা। কত হাজার কোটি টাকার বন্ড ইস্যু হয়েছে, কত হাজার কোটি টাকা পেয়েছে বিজেপি ও সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার ভিত্তিতে কত অর্থ তাদের তহবিলে এসেছে, সরকারের কাছে তা জানতে চেয়েছেন এই কংগ্রেস নেতা।
কেন্দ্রীয় সরকার নির্বাচনী বন্ড প্রকল্প চালু করার আগে দাবি করেছিল, এর ফলে রাজনৈতিক দলগুলি যে অনুদান পায় তাতে স্বচ্ছতা আনা যাবে। যদিও এই নির্বাচনী বন্ড নিয়ে এখন ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে। অভিযোগ, এই নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলি যথেচ্ছ অনুদান গ্রহণ করতে পারে। কোথা থেকে এই অর্থ আসছে, তা প্রকাশ করার প্রয়োজনও পড়ছে না। আর এই জায়গাটাতেই কেন্দ্রীয় সরকারকে চেপে ধরতে চাইছে বিরোধীরা। যেমনটা এদিন অভিযোগ করেছে কংগ্রেস। মোদ্দা বক্তব্য, স্বচ্ছতার নাম করে আদতে শাসকদল নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে বিশাল টাকা পার্টি ফান্ডে নিয়ে আসছে। এর জন্য অনুদানকারীর পরিচয় প্রকাশ করতে হচ্ছে না। যা আদতে অর্থ তছরুপের শামিল। কংগ্রেসের এই অভিযোগের পিছনে রয়েছে আরটিআই আইনে প্রকাশিত তথ্যের উপর ভিত্তি করে সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, নির্বাচনী বন্ড চালু করার ক্ষেত্রে আপত্তি ছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্কের। যদিও মোদি সরকার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সেই সুপারিশ না মেনেই নির্বাচনী বন্ড চালুর রাস্তায় হেঁটেছিল। রিপোর্টের দাবি করা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট সরকারকে সতর্ক করে বলেছিল, নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অর্থ তছরুপের রাস্তা তৈরি করবে। যদিও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সতর্কতা সত্ত্বেও ২০১৭ সালের সাধারণ বাজেটে নির্বাচনী বন্ড প্রকল্প চালুর প্রস্তাব ঘোষণা করে দেওয়া হয়।