কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
আইএনএক্স মিডিয়া দুর্নীতিকাণ্ডে ‘সক্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ’ ভূমিকা ছিল চিদম্বরমের। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর জামিনের বিরোধিতা করে শুক্রবার দিল্লি হাইকোর্টে এমনটাই জানিয়েছিল তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সেইমতো চিদম্বরমের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। এদিকে, সেই রায়ের কপিতে ‘অনিচ্ছকৃত’ ভুল রয়েছে। তা ঠিক করার আর্জি জানিয়ে সোমবারই দিল্লি হাইকোর্টে গিয়েছে ইডি। সরকারি আইনজীবী অমিত মহাজন এবং ইডির আইনজীবী রাবত নায়ারের মাধ্যমে ইডি তার আবেদনে জানিয়েছে, ‘রায়ের কপির ৩৫, ৩৬, ৩৯ ও ৪০ নম্বর অনুচ্ছেদে অনিচ্ছাকৃত ভুল রয়েছে।’
গত ১৫ নভেম্বর আইএনএক্স দুর্নীতি মামলায় চিদম্বরমের জামিনের আর্জি হাইকোর্টে খারিজ হয়ে যায়। কিন্তু, জামিন খারিজের নির্দেশ দিতে গিয়ে আদালত সেদিন যে ৪১ পাতার রায় দিয়েছিল, শনিবার তা প্রকাশ্যে আসে। তাতে দেখা গিয়েছে, চিদম্বরমের আর্জি খারিজ করতে গিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সুরেশ কুমার কাইত ২০১৭ সালের রোহিত ট্যান্ডন বনাম ইডি মামলায় হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের রায়ের উদাহরণ টেনে এনেছেন। তবে, সেই উদাহরণ টানতে গিয়ে বিচারপতি কাইত ট্যান্ডন মামলার রায়গুলির কিছু অংশ হুবহু টুকে দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন চিদম্বরম মামলা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল আইনজীবীদের একাংশ।
অন্যদিকে, দেশের অর্থনীতি নিয়ে নরেন্দ্র মোদি সরকারের ‘চূড়ান্ত ব্যার্থতা’ ফাঁস করে দিতে সংসদে বিরোধী দলগুলিকে নেতৃত্ব দেওয়া উচিত কংগ্রেসের বলে মন্তব্য করেছেন চিদম্বরম। সেইসঙ্গে, যুক্তিসঙ্গত সমালোচনাকে সরকার স্বীকার করছে না বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। সেই মর্মে চিদম্বরমের হয়ে এদিন একটি ট্যুইট করে তাঁর পরিবার। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘আজ যখন সংসদ খুলছে, তখন বিরোধী দলগুলিকে নেতৃত্ব দিয়ে কংগ্রেসের উচিত অর্থনীতি নিয়ে সরকারের চূড়ান্ত ব্যর্থতার পর্দাফাই করে দেওয়া। অর্থনীতির কোন দিকটা ভালো চলছে? একটাও না। সেটা জানা সত্ত্বেও সরকার যুক্তিসঙ্গত সমালোচনা ও যথাযথ উপদেশকে প্রত্যাখ্যান করছে।’