নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি, ১৭ নভেম্বর: মহারাষ্ট্রে জোট গঠন নিয়ে রবিবারও তেমন একটা আশার আলো দেখতে পাওয়া গেল না। এদিন নয়াদিল্লিতে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পাওয়ারের যে জোট-বৈঠক হওয়ার কথা ছিল, তা শেষমেশ হয়নি। মহারাষ্ট্রে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে রবিবার বৈঠক করেছেন পাওয়ার। রাত পর্যন্ত খবর, আগামীকাল, সোমবার সেই বৈঠক হতে পারে। পাওয়ার নিজে সাংবাদিক সম্মেলন করে কংগ্রেস ও শিবসেনার সঙ্গে সরকার গঠনের ঘোষণা করলেও তার পরবর্তী পদক্ষেপ কিছু নেওয়া হয়নি। সবটাই এখনও আলোচনা স্তরে রয়ে গিয়েছে। তিন দলের প্রতিনিধিরা রাজ্যপালের কাছে গিয়ে সরকার গঠনের দাবিও রবিবার পর্যন্ত জানায়নি। মনে করা হচ্ছে, সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে শারদ পাওয়ারের বৈঠকের পর হয়তো এই জোট ও সরকার গঠনের প্রক্রিয়া গতি পাবে।
এর মধ্যে সোমবারই শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। প্রথম দিনেই চিটফান্ড সংশোধনী বিল উঠবে বলে তালিকাভুক্ত হয়েছে। আর এই অধিবেশন শুরু হচ্ছে এমন একটা পরিস্থিতিতে, যখন মহারাষ্ট্রে বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার পর সংসদের দুই কক্ষেই এবার বিরোধী আসনে বসতে হচ্ছে শিবসেনাকে। উদ্ধব থ্যাকারের দলের পক্ষ থেকে লোকসভা বা রাজ্যসভায় নতুন করে বসার জন্য আসন বণ্টনের অনুরোধ জানানো না হলেও সরকারপক্ষ শিবসেনাকে বিরোধী আসনেই বসাচ্ছে। আজ এক প্রশ্নের উত্তরে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশি জানিয়েছেন, শিবসেনা এখন আর সরকারের সঙ্গে নেই। মন্ত্রীপদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই ওঁরা বিরোধী আসনে বসবেন।
সরকারের এই সিদ্ধান্তে খুশি কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। কারণ, পাটীগণিতের হিসেবে হলেও সংসদে ইউপিএর শক্তি বাড়ছে। সংসদের উভয় কক্ষেই নরেন্দ্র মোদির সরকারকে চেপে ধরতে শিবসেনার মতো আগ্রাসী দলের প্রয়োজন আছে বলে মনে করে কংগ্রেস। তাই শিবসেনা বিরোধী আসনে চলে আসায় কংগ্রেস খুশি। লোকসভায় শিবসেনার ১৮ জন এমপি রয়েছেন। রাজ্যসভায় তিনজন। বিজেপি বিরোধী সমমনষ্ক দলগুলি নিয়ে আগামীকাল একটি বৈঠকেও বসতে চলেছে কংগ্রেস। আজ সরকারের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে হাজির ছিলেন দলের লোকসভার নেতা বিনায়ক রাউত। তিনি বলেছেন, মহারাষ্ট্রে কৃষকদের কেন জল দেওয়া হচ্ছে না? কৃষকদের সমস্যা মেটাতে কেন্দ্রকে ব্যবস্থা নিতে হবে।