পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
তবে শুধুমাত্র দেশজোড়া সাধারণ ধর্মঘট নয়, বিজেপি বিরোধিতায় আরও সোচ্চার হতে কার্যত নিজেদের সাংগঠনিক শক্তি প্রদর্শনের উদ্দেশে ডিসেম্বর মাসজুড়ে দেশব্যাপী মোদিবিরোধী প্রচার আন্দোলন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বলে ঠিক করেছে সিপিএম। তার মধ্যে যেমন অবস্থান বিক্ষোভ করা হবে, তেমনই মিটিং-মিছিল এবং পথসভার মতো কর্মসূচিতেও শামিল হবে সিপিএম। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এই মোদিবিরোধী প্রচার আন্দোলনেও কংগ্রেস সহ অন্যান্য অবিজেপি দলকে পাশে চাইছে সিপিএম। এদিনের বৈঠকের পর দলের এক পলিটব্যুরো সদস্য বলেন, ‘দল এখন অনেক বেশি করে মোদিবিরোধী আন্দোলনে নজর দিতে চাইছে। কারণ কেন্দ্রে দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এলেও মোদি সরকার সাধারণ মানুষের স্বার্থে কোনও নীতি গ্রহণ করছে না। একের পর এক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। দেশে বেকারত্ব বাড়ছে। মূল্যবৃদ্ধি আকাশ ছুঁয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র শ্রমিক সংগঠনগুলির ডাকে সাধারণ ধর্মঘটের আয়োজন করলে চলবে না। বরং একে কার্যত একটি সর্বদলীয় কর্মসূচিতে পরিণত করতে হবে। ডিসেম্বর মাসজুড়ে আমরা যে মোদি বিরোধী প্রচার আন্দোলন করব, সেটিকেই সম্পূর্ণ করা হবে আগামী ৮ জানুয়ারির সাধারণ ধর্মঘটের মধ্যে দিয়ে।’
রাজনৈতিক মহলের মতে, একের পর এক নির্বাচনে রাজ্য তথা জাতীয়স্তরে ক্রমশ অস্তিত্ব বিপন্ন হয়েছে সিপিএমের। সেই কারণে জোট করে আন্দোলন কর্মসূচি গ্রহণ করে অন্য দলগুলির সঙ্গে যাবতীয় কথাবার্তা চালাতেও আর পিছপা নয় সিপিএম। পলিটব্যুরোর বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের আসন্ন তিনটি বিধানসভা উপনির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোট আরও বেশি করে অবিজেপি প্রার্থীকে জেতানোর পক্ষেই সওয়াল করে নির্বাচনী প্রচার করবে।