কর্মপ্রার্থীদের নতুন কর্ম সংস্থানের সুযোগ আছে। সরকারি বা আধাসরকারি ক্ষেত্রে কর্ম পাওয়ার সুযোগ আছে। ব্যর্থ ... বিশদ
সম্প্রতি ইএসআইসির সমস্ত আঞ্চলিক অধিকর্তা এবং ইএসআই স্কিমের হাসপাতালগুলির শীর্ষকর্তাদের একটি চিঠি (নং- Pt.U-11/14/12015 Med-I Vol.I) পাঠিয়েছেন কর্মচারী রাজ্য বিমা নিগমের সহ-অধিকর্তা (মেডিক্যাল) জ্ঞানরঞ্জন বেহেরা। সেই চিঠিতে অ্যাম্বুলেন্স না থাকার বিষয়টির উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, ‘অধিকাংশ ইএসআই হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স না থাকার বিষয়টি নিয়ে প্রচুর অভিযোগ জমা পড়েছে। বিশেষ করে রাজ্য পরিচালিত ইএসআই হাসপাতাল এবং ডিসপেনসারিগুলি সম্পর্কে এই অভিযোগ সামনে আসছে। অথচ ইএসআই হাসপাতাল এবং ডিসপেনসারিগুলিতে কতগুলি অ্যাম্বুলেন্স রাখতে হবে, তার নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। তবুও সেগুলি মানা হচ্ছে না। ইএসআই হাসপাতালগুলি যাতে অ্যাম্বুলেন্স পায় নিয়মমতো, সেই ব্যাপারে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক।’
এই মুহূর্তে দেশে শতাধিক ইএসআই হাসপাতাল রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে ১৪টি। কর্মচারী রাজ্য বিমা নিগমের আওতায় দু’ধরনের ইএসআই হাসপাতাল রয়েছে সারা দেশে। একটি ইএসআই কর্পোরেশন হাসপাতাল। অন্যটি ইএসআই স্কিম হাসপাতাল। ইএসআই কর্পোরেশন হাসপাতালের প্রশাসনিক এবং আর্থিক দায়ভার কেন্দ্রীয় সরকারের। আর ইএসআই স্কিমের হাসপাতালগুলির প্রশাসনিক দায়ভার সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার সামলালেও আর্থিক দায় কেন্দ্রেরই। ফলে রাজ্য পরিচালিত ইএসআই স্কিম হাসপাতালের বিরুদ্ধে অ্যাম্বুলেন্স না থাকার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠলেও, এর দায় সম্পূর্ণভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের উপরেই বর্তায়। কারণ, বরাদ্দের থেকে বেশি অ্যাম্বুলেন্সের প্রয়োজন হয়, তাহলে কোনও রাজ্য সরকার বড়জোর চুক্তির ভিত্তিতে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করতে পারে। কিন্তু তা কেনা যায় না। তাই অ্যাম্বুলেন্স সমস্যার সমাধানে উঠেপড়ে লেগেছে কেন্দ্র।