রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
পুজো ও বিভিন্ন ধর্মীয় আচরণের পর মন্দিরের দরজা খুলে দেন কান্দারারু তথা মুখ্য পুরোহিত মহেশ মোহনারারু। সবরীমালার মেলশান্তি ও মালিকাপুরম মেলশান্তি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন এ কে সুধীর নাম্বুদিরি এবং এম এস পরমেশ্বরম নাম্বুদিরি। সেইমতো কেরল ও বিভিন্ন রাজ্য থেকে নীলাচল ও পাম্বা ক্যাম্পে আসছেন পুণ্যার্থীরা। সেখান থেকে সবরীমালার উদ্দেশে রওনা দেবেন তাঁরা। ২৭ ডিসেম্বর মণ্ডলপূজার পর তিনদিনের জন্য বন্ধ থাকবে সবরীমালা মন্দির। তারপর মাকারাভিলাক্কু উৎসবের জন্য ৩০ ডিসেম্বর ফের খুলবে মন্দির। সেই উৎসব শেষে আগামী ২০ জানুয়ারি পাকাপাকিভাবে বন্ধ হবে সবরীমালার গেট।
এদিকে, পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে রবিবার উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডেকেছিলেন সুরেন্দ্রন। উপস্থিত ছিলেন কেরলের শীর্ষকর্তারা। সেখানে পুণ্যার্থীদের ভিড়, পুণ্যযাত্রার পথে সুবিধা-অসুবিধা খতিয়ে দেখা হয়। তারপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুরেন্দ্রন বলেন, ‘নীলাচল, পাম্বা ও সুন্নিধনমে পুণ্যার্থীদের ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যে কয়েকটি গাফিলতি বা ফাঁক-ফোকর দেখা গিয়েছে, তা আগামী এক-দু’দিনের মধ্যে মিটিয়ে ফেলা হবে।’
অন্যদিকে, গত বৃহস্পতিবার সবরীমালায় সব বয়সি মহিলাদের প্রবেশ নিয়ে পুনর্বিবেচনার মামলা সাত সদস্যের বৃহত্তর সাংবিধানিক বেঞ্চে স্থানান্তরিত করেছে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ। যা নিয়ে মতবিরোধ দেখা গিয়েছে। ছড়িয়েছে বিভ্রান্তি। এ নিয়ে কেরলের আইনমন্ত্রী এ কে বালান এদিন বলেন, মহিলাদের প্রবেশ নিয়ে গত বছরের রায়ের উপর ‘কার্যত’ স্থগিতাদেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। আর তাই সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে কাজ করা উচিত রাজ্য সরকারের। প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বরে সবরীমালা নিয়ে ঐতিহাসিক রায় শুনিয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালত। ধর্মীয় প্রথাকে দূরে সরিয়ে রেখে মন্দিরে সব বয়সি মহিলাদের প্রবেশের পক্ষে রায় দিয়েছিল তৎকালীন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।