কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ
এ প্রসঙ্গে ভিএইচপি’র পশ্চিমবঙ্গ মিডিয়ার ইনচার্জ সৌরীশ মুখোপাধ্যায় বলেন, আমরা একটি ধর্মীয়-সামাজিক সংগঠন। হিন্দু সমাজকে ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী করে দেশজুড়ে বিবিধ সামাজিক সেবামূলক কাজ চালিয়ে যাওয়াটাই আমাদের মৌলিক লক্ষ্য। এক্ষেত্রে রামমন্দির কিংবা ৩৭০ ধারা বিলোপ সংগঠনের অন্যতম দাবি-দাওয়ার অংশ বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তাঁর দাবি, বাংলাতে বর্তমান সময়ে ভিএইচপি প্রভাব আরও বৃদ্ধি পেতে চলেছে। কারণ, এ রাজ্যে হিন্দু সমাজের উপর লাগাতার আক্রমণ হচ্ছে। আর এক্ষেত্রে প্রশাসনিক ইন্ধনও রয়েছে। একই সঙ্গে বাংলায় সীমান্তবর্তী এলাকায় নাগাড়ে ধর্মান্তকরণ-মঠ-মন্দির ভাঙা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলেন ভিএইচপি’র এই নেতা। যা প্রতিরোধে হিন্দু জনমত গড়ে তুলতে রবিবার শুরু হওয়া তাদের সদস্য সংগ্রহ অভিযান সহায়ক হবে বলেও জানান সৌরীশবাবু।
ভিএইচপি সূত্রের দাবি, মাত্র ২০ টাকা চাঁদার বিনিময়ে এই সংগঠনের সদস্য হওয়ার সুযোগ রয়েছে। তিন বছর আগের সদস্য সংগ্রহ অভিযানে গোটা রাজ্য থেকে মাত্র ৫০ হাজার মানুষ এই হিন্দুত্ববাদী সংগঠনে যুক্ত হয়েছিলেন। এবার সেই লক্ষ্যমাত্রা কয়েকগুণ বাড়িয়ে তিন লক্ষ ধরা হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটের পর থেকেই বাংলাজুড়ে গেরুয়া হাওয়া জোরদার হতে শুরু করে। পরবর্তী সময়ে নানা নির্বাচনে বিজেপির উত্থান সার্বিকভাবে সঙ্ঘ (বিচার) পরিবারের আদর্শে অনুপ্রাণিত সংগঠনগুলিকে আরও চাঙ্গা করতে সাহায্য করেছে। সেই সূত্রেই সাম্প্রতিক অতীতে রাজ্যজুড়ে রামনবমী এবং হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রার বহর ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এখন দেখার, আগামী দিনে আন্দোলনের নয়া অভিমুখের সন্ধান দিতে কতটা সফল হয় ভিএইচি’র শীর্ষ নেতৃত্ব। এদিকে, অভিযোগ উঠেছে, প্রস্তাবিত রামমন্দিরের জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তহবিল তুলছে ভিএইচপি। বিষয়টিকে পুরোপুরি নাকজ করে রবিবার দিল্লিতে এ নিয়ে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে সংগঠনের আন্তর্জাতিক মহাসচিব মিলিন্দ পারান্দে জানান, এ ধরনের কোনও তহবিল সংগ্রহ হচ্ছে না। ১৯৮৯ সাল থেকে ভিএইচপি কিংবা শ্রী রাম জন্মভূমি ন্যাস কোনও তহবিল সংগ্রহ করেনি কিংবা এ সংক্রান্ত কোনও ঘোষণা করেনি।