কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ
পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব রেল সূত্রের খবর, কুয়াশার জেরে সিগন্যাল অনেক সময়ই দেখা যায় না। এমন পরিস্থিতিতে যাত্রীদের সুরক্ষার জন্যই নিয়ন্ত্রিত গতিতে ট্রেন চালাতে হয়। সেই কারণেই ট্রেন সময়ে চালানো যায় না অনেক সময়। কুয়াশার জেরে উত্তর ভারত থেকে আসা ট্রেনগুলির সময়ানুবর্তিতা সবচেয়ে বেশি মার খায়। তার জন্য আপ লাইনের ট্রেনগুলির সময়সূচিতেও বদল করতে হয়। পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঘন কুয়াশা থাকলে চালকরা যাতে সুরক্ষা অটুট রেখে ট্রেন চালাতে পারেন, তার জন্য ‘ফগ সিগন্যাল ম্যান’ মোতায়েন করা হবে। বিধি মেনে তাঁরা ডিটোনেটরের মাধ্যমে সিগন্যাল সম্পর্কে চালকদের বিশেষ সঙ্কেত দেবেন।
দুই জোনের পক্ষ থেকেই জানানো হয়েছে, কুয়াশায় কীভাবে ট্রেন চালাতে হবে, তা নিয়ে গাইড বুকলেট চালক, গার্ড এবং স্টেশন মাস্টারদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সেই বুকলেটেই বলা রয়েছে, কোন পরিস্থিতিতে কীভাবে গতি নিয়ন্ত্রণ করে ট্রেন চালাতে হবে।
পূর্ব রেলের এক কর্তা বলেন, দূরপাল্লার ডাউন ট্রেনগুলি যখন পূর্ব রেলের এলাকায় ঢোকে, সেই সময়ই অনেকটা ‘লেট’ করে ঢোকে। তার জেরে আপ লাইনের ট্রেনগুলির সূচিতে বদল করতে হয়। এবারে এমন পরিস্থিতিতে বিকল্প রেক তৈরি রাখতে বলা হয়েছে। যাতে ডাউন ট্রেন দেরিতে এলেও আপ লাইনের ট্রেনটিকে সময়ে ছাড়া যায়। এতে যাত্রীদের যেমন সমস্যা কমবে, তেমনই রেলের সময়ানুবর্তিতাও মার খাবে না। ট্রেন বাতিলের হ্যাপাও কমবে। সুষ্ঠুভাবে ট্রেন চালানোর জন্য কিছু ট্রেনের ট্রিপ কমানো হচ্ছে। রাতে অফিসারদের পরিদর্শন আরও বাড়ানো হবে।
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, ঘন কুয়াশায় ট্রেনের গতি সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় রাখতে বলা হয়েছে। যেসব ট্রেনে ‘ফগ সেফ ডিভাইস’ রয়েছে, সেগুলিতে চালক মনে করলে ট্রেনের গতি প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৭৫ কিলোমিটার রাখতে পারেন। গেটম্যান এবং পথচারীদের সতর্ক করতে মাঝেমধ্যেই হুইসেল বাজাতে বলা হয়েছে চালকদের। নির্ধারিত গতির বেশি জোরে চালক যাতে ট্রেন না চালান, তা দেখতে বলা হয়েছে গার্ডদের। গভীর রাত থেকে সকাল পর্যন্ত অফিসারদের পরিদর্শন আরও বাড়ানো হচ্ছে। শীতে অনেক সময় লাইনে ফাটলের ঘটনা ঘটে। তার জন্য কেবল রাতে নয়, দিনেও লাইন পরিদর্শনও বাড়ানো হচ্ছে।