কর্মপ্রার্থীদের কর্মলাভ কিছু বিলম্ব হবে। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য লাভ ঘটবে। বিবাহযোগ আছে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় থেকে ... বিশদ
জানা গিয়েছে, কলকাতা, মুম্বই, দিল্লি, চেন্নাই সহ দেশের মোট ২১টি প্রধান শহরের পানীয় জলের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। কিন্তু সেগুলির মান ‘ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ড (আইএস)-১০৫০০:২০১২’ অনুযায়ী যথাযথ নয়। শনিবার সমীক্ষার দ্বিতীয় পর্যায়ের রিপোর্ট প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় ক্রেতাসুরক্ষা মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান জানিয়েছেন, দেশের ২১টি প্রধান শহরের পানীয় জলের নমুনা সংগ্রহ করে বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়েছিল। একমাত্র মুম্বইয়ের পানীয় জলই ১১টি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে দেশের সর্বত্র নলবাহিত জলের মানোন্নয়ন প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তিনি। এই মর্মে কেন্দ্রের তরফে প্রতিটি রাজ্য সরকারকে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বার্তাও দেওয়া হচ্ছে। তবে গোটা বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের তরফে এখনই কোনও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব নয় বলেও জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘নলবাহিত জলের গুণগত মান বজায় রাখার বিষয়টি এখনও বাধ্যতামূলক নয়। যদি কখনও তা করা হয়, তবে সেই অনুযায়ী পদক্ষেপও গ্রহণ করা হবে।’ রামবিলাস পাসোয়ান আরও জানিয়েছেন, সমীক্ষার প্রথম ধাপে দিল্লি থেকে সংগৃহীত পানীয় জলের ১১টি নমুনা পরীক্ষা করে বিআইএস জানায়, একটি নমুনারও গুণগত মান ঠিক নেই। দিল্লির নলবাহিত জল পান করার পক্ষেও নিরাপদ নয়।
এই পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, তালিকার শেষ দিক থেকে দিল্লি ও কলকাতার পরেই রয়েছে চেন্নাই, দেরাদুন, জয়পুর, জম্মু ও লখনউ। অন্যদিকে, মুম্বইয়ের পরেই ভালো মানের পানীয় জলের তালিকায় রয়েছে হায়দরাবাদ, ভুবনেশ্বর, রাঁচি, রায়পুর, অমরাবতীর মতো শহরগুলি।
বিআইএস-এর ডিরেক্টর জেনারেল প্রমোদকুমার তিওয়ারি জানিয়েছেন, এই পরীক্ষার তৃতীয় ধাপে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির রাজধানীর পাশাপাশি ১০০টি স্মার্ট সিটি থেকে পানীয় জলের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হবে। ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারির মধ্যে সেই পরীক্ষার ফলপ্রকাশ করা হবে।