দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
রেলের এক কর্তা বলেন, এখন বিভিন্ন ট্রেনে যেসব খাবার দেওয়া হয়, তা আগামী দিনেও দেওয়া হবে। এবার নতুন সংযোজন এই ‘স্ন্যাক্স মিল’। এতে পাওয়া যাবে আঞ্চলিক খাবারের স্বাদ। কেন এই সিদ্ধান্ত? ওই কর্তার কথায়, ট্রেন ভ্রমণেও অনেকে বাড়ির খাবারের স্বাদ খোঁজেন। আবার, এমন বহু যাত্রী রয়েছেন, যাঁরা নতুন জায়গায় গিয়ে সেখানকার খাবারের স্বাদ নিতে চান। নয়া সিদ্ধান্তে এই দু’ধরনের যাত্রীদেরই সুবিধা হবে। এতে আগামী দিনে রেলের খাবারের বৈচিত্র্যও বাড়বে।
রেল সূত্রের খবর, জোনগুলিকে বলে দেওয়া হয়েছে ৩৫০ গ্রাম ওজনের এই ‘স্ন্যাক্স মিল’ যাত্রীদের দিতে হবে। তার জন্য দাম নিতে হবে জিএসটি সহ ৫০ টাকা। এখানেই শেষ নয়, বলা হয়েছে মূল খাবারের সঙ্গে দেওয়া যেতে পারে রায়তা, পাপড়, স্যালাডের মতো সাইড ডিশও। এই মূল খাবার এবং সাইড ডিশ কী কী হতে পারে, তা চূড়ান্ত করার ভার দেওয়া হয়েছে ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ক্যাটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন লিমিটেড (আইআরসিটিসি)-কে।
আইআরসিটিসি’র পূর্বাঞ্চলের এক কর্তার কথায়, রেল বোর্ডের নির্দেশিকা এসে গিয়েছে। তবে কী কী খাবার দেওয়া হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। আলোচনা চলছে। যেহেতু এখন শীত পড়ছে, তাই শীতের সব্জি দিয়ে কী কী খাবার হতে পারে, তা দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি সুজি, ঘুগনি, শিঙাড়া, পায়েসের মতো আরও কিছু খাবারের কথাও বিবেচনা করা হচ্ছে। শীঘ্রই বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে।
কী বলছেন যাত্রীরা? তাঁদের বক্তব্য, প্রথমত, রেল যেহেতু খাবারের দাম বাড়িয়েছে, সেই মতো এবার মানও বাড়ানো হোক। খাবারের জন্য জিনিসপত্র কেনা থেকে শুরু করে ট্রেনে পরিবেশন, প্রতিটি পর্যায়ে নজরদারি আরও বাড়ানো হোক। দ্বিতীয়ত, ট্রেনে খাবারের দাম বাড়লেও ‘জনতা মিল’-এর দাম বাড়ানো হয়নি। এই সিদ্ধান্তে অনেকের সুবিধা হবে। তৃতীয়ত, আঞ্চলিক খাবারে আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়াও একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত। পশ্চিমবঙ্গ রেল যাত্রী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অপরেশ ভট্টাচার্য বলেন, ট্রেনে ঘরের খাবারের স্বাদ পেলে তো ভ্রমণের মাত্রাই অন্যরকম হয়। তবে, এমন অনেক যাত্রীই থাকেন, যাঁরা অন্য জায়গায় গিয়ে সেখানকার খাবারের স্বাদ পেতে চান। সেক্ষেত্রে নয়া সিদ্ধান্তে সবারই সুবিধা হবে। তবে রেলকে প্রথমেই সার্বিকভাবে খাবারের মানের উপর নিরন্তর নজরদারি রাখতেই হবে।