কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সম্প্রতি জেএনইউ বিশ্ববিদ্যালয়ে হস্টেল ফি বৃদ্ধি প্রতিবাদে পড়ুয়াদের আন্দোলন চলাকালীনই ক্যাম্পাসের মধ্যে স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তি বিকৃত করার অভিযোগ ওঠে। আবরণ উন্মোচন না হওয়া সেই মূর্তির পাদদেশে অশালীন শব্দ লেখার অভিযোগও ওঠে। যে ঘটনাকে এখন রাজনৈতিক হাতিয়ার করতে মরিয়া হয়েছে গেরুয়া শিবির। এ ব্যাপারে বিজেপি এমপি লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ‘সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের একেবারে গোড়া থেকেই জেএনইউয়ে স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তি বিকৃত করার ঘটনা প্রতিবাদে সরব হবে দল। কলকাতায় যখন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার ঘটনা ঘটল, তখন কীভাবে বিজেপিকে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছিল, তা সকলেই দেখেছেন। অথচ জেএনইউ ক্যাম্পাসে স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তি বিকৃত করার ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসকে সেভাবে সোচ্চার হতে দেখেছেন এখনও? পুরো বিষয়টিই আমরা সংসদে তুলব।’ যদিও ঘটনা হল, জেএনইউ ক্যাম্পাসে স্বামীজির মূর্তি বিকৃত করার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই একে দুঃখজনক বলে প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও বিজেপির অভিযোগ, অন্য সময় এহেন ঘটনায় টিএমসির পক্ষ থেকে যেভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় বা অন্যত্র সরব হয়ে পরের পর বিবৃতি দেওয়া হয়, এক্ষেত্রে তা ঘটেনি।
তবে জেএনইউ-কাণ্ডকে সামনে রাখলেও তৃণমূলের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাবনতির অভিযোগ থেকে সরছে না বিজেপি। পাশাপাশি আগামী বছর রাজ্যের পুরভোটের কথা মাথায় রেখে এরই সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে একাধিক আর্থিক অনিয়ম সংক্রান্ত অভিযোগ। বিজেপি এমপি খগেন মুর্মু বলেছেন, ‘লোকসভা নির্বাচনের পরেও রাজ্যে বিজেপির নেতা-কর্মী এবং সমর্থকদের উপর লাগাতার হামলা-সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তা থামার কোনও লক্ষণ নেই। পুলিশও তৃণমূলের ক্যাডারের মতো আচরণ করছে। ফলে এর বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ জারি তো থাকবেই।’ একইসঙ্গে লোকসভায় বঙ্গ বিজেপির হুইপ খগেনবাবু বলেন, ‘তৃণমূলের বিরুদ্ধে একের পর এক আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ সামনে আসছে। শৌচালয় তৈরি, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা মতো একাধিক প্রকল্পের সুফল গরিব মানুষদের কাছে ঠিকমতো পৌঁছচ্ছেই না। তার একমাত্র কারণ তৃণমূলের আর্থিক অনিয়ম। সংসদে এর তীব্র প্রতিবাদ করবে দল।’ জানা যাচ্ছে, আগামীকাল, রবিবার দলের লোকসভার হুইপদের নিয়ে একটি বৈঠক করতে পারে বিজেপি। সেখানেও বাংলার এই পরিস্থিতি তুলে ধরে যাবতীয় পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হতে পারে।