বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
গত সপ্তাহে অযোধ্যা মামলার ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। বিতর্কিত জমিতেই রামমন্দির নির্মাণের কথা বলা হয়েছে রায়ে। সেই সঙ্গে মুসলিমদের জন্য বিকল্প পাঁচ একর জমির ব্যবস্থা করতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। কিন্তু এই রায় নিয়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারেনি সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড। জমি গ্রহণ করার ব্যাপারেও প্রথম থেকেই দোলাচলে রয়েছে তারা। ফারুকি এদিন বলেছেন, ‘মুসলিমদের একাধিক সংগঠনের সহমতের ভিত্তিতে ওই জমি গ্রহণে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তার আগে জমি প্রত্যাখান করলে আদালত অবমাননার দায়ে পড়তে হবে কি না, তা জানতে আইনি পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে।’ কিন্তু কেন জমি প্রত্যাখ্যানের অবস্থান নিতে চলেছে ওয়াকফ বোর্ড? ফারুকি বলেছেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের রায়ে প্রাপ্ত জমিতে গঠনমূলক কোনও প্রকল্প গ্রহণ করে গোটা বিশ্বকে একটা বার্তা দেওয়ার চিন্তাভাবনা ছিল। এ ব্যাপারে মুসলিম সংগঠনগুলির মতামতও নেওয়া হয়। কিন্তু সমর্থনের পাল্লা অতি নগণ্য।’
অযোধ্যা মামলার সঙ্গে কোনওভাবেই যুক্ত নয় এআইএমপিএলবি। তাহলেও তাদের মতামতকে অগ্রাহ্য করতে চাইছে না সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড। সেই কারণেই অযোধ্যার জমি-ইস্যুতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে এআইএমপিএলবি’র সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে তারা। ফারুকি বলেছেন, ‘ভারতীয় মুসলিম সমাজের ‘সুপ্রিম বডি’ হল এআইএমপিএলবি। অযোধ্যা মামলায় তারা যুক্ত ছিল না ঠিকই। কিন্তু আদালতের রায় নিয়ে তাদের মতামত আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এআইএমপিএলবি’র সঙ্গে আলোচনা জরুরি। আশাকরি, রবিবার জমি-জট মেটানোর কোনও একটা সূত্র বেরিয়ে আসবে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আগামী ২৬ নভেম্বর।’ বাবরি মসজিদ অ্যাকশন কমিটির আহ্বায়ক তথা আইনজীবী জাফরায়েব জিলানিও বলেছেন, ‘ভারতের মুসলিম সমাজের নেতৃত্ব দিয়ে আসছে এআইএমপিএলবি। অযোধ্যায় অন্যত্র জমি গ্রহণ কিংবা বর্জন, দু’টিই মুসলিমদের কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে এককভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া কোনও পক্ষেরই উচিৎ হবে না। তাই এআইএমপিএলবি’র মতামত নেওয়া আমাদের কাছে জরুরি।’