কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
খাবার সম্পর্কিত রেল বোর্ডের নয়া নির্দেশিকায়, পদ অনুযায়ী খাবার বিক্রির ব্যবস্থায় অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ আনা হয়েছে। যেমন, এতদিন রেলের পরিভাষায় খাবারে নন-ভেজ মিল বলতে মূলত খাবারের সঙ্গে ডিম দেওয়া হতো। কেউ চিকেন খেতে চাইলে, তাঁকে আ-লা-কার্টে হিসেবে আলাদা দাম দিয়ে কিনতে হতো। আগে নন-ভেজ মিলের দাম ছিল ৫৫ টাকা। নয়া নির্দেশিকায় নন-ভেজ মিল হিসেবে ডিমের পাশাপাশি চিকেন কারি রাখা হয়েছে। ‘এগ মিল’-এর দাম বাড়িয়ে করা হয়েছে ৯০ টাকা। আর, নতুন যুক্ত হওয়া ‘চিকেন মিল’-এর দাম রাখা হয়েছে ১৩০ টাকা।
ট্রেনের খাবারের দাম বৃদ্ধিতে নিশ্চিতভাবেই যাত্রীদের পকেটে বাড়তি চাপ পড়বে। এমনিতেই ট্রেনে খাবারের মান নিয়ে অনেক সময় অভিযোগ করেন যাত্রীরা। তার উপরে খাবারের দাম বৃদ্ধির খবর চাউর হতেই যাত্রীরা চাইছেন, এবার খাবারের মানকে পাখির চোখ করুক রেল। খাবার তৈরি থেকে শুরু করে ট্রেনে পরিবেশন, গোটা প্রক্রিয়ায় কড়া নজরদারির দাবি তুলেছেন যাত্রীরা। রেলকর্তারা অবশ্য এই প্রসঙ্গে ইতিবাচক কথাই শোনাচ্ছেন। তাঁদের বক্তব্য, রেলের খাবারের মান বাড়াতে গত কয়েক বছর ধরেই নানা কর্মকাণ্ড চলছে। বিশেষত, নতুন ক্যাটারিং পলিসি রূপায়ণে খাবারের মান উন্নত হয়েছে। এই ব্যাপারে আগামী দিনেও নজরদারি রাখা হবে। খাবার নিয়ে অভিযোগ প্রমাণ হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
খাবারের মানের পাশাপাশি অনেক ক্ষেত্রে বেশি দাম নেওয়ারও অভিযোগ তোলেন যাত্রীরা। এতদিন পর্যন্ত রেলের খাবারে আ-লা-কার্টে (পদ অনুযায়ী দাম) ব্যবস্থার বেশ রমরমা ছিল। তার সুযোগ নিয়ে অনেক সময় বেশি দর চাওয়া হতো বলে অভিযোগ। রেলকর্তারা বলছেন, ইতিমধ্যেই খাবারে ‘বার কোড’ ব্যবস্থা চালু হয়েছে। ফলে খাবারের নানা তথ্য থেকে শুরু করে ‘রান্নাঘর’-এর ছবিও যাত্রীরা দেখতে পাচ্ছেন। কবে থেকে খাবারের নয়া দাম লাগু হবে? রেলের এক কর্তা বলেন, সবে রেল বোর্ড নির্দেশিকা জারি করেছে। সেই মতো ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শীঘ্রই তা লাগু হবে।