পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বামপন্থী সংগঠনগুলির দখলে থাকা জেএনইউ ছাত্র সংসদের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে স্পষ্ট বলা হয়েছে, বামপন্থীরা এরকম ‘ভ্যান্ডালিজমে’র সমর্থক নয়। এটা অত্যন্ত গর্হিত অপরাধ। যদিও বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে সরাসরি বিজেপি, আরএসএসের ছাত্র শাখা এবিভিপির দিকে মূর্তি ভাঙার অভিযোগে আঙুল তোলা হয়নি। পরিবর্তে জেএনইউ ছাত্র সংসদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হস্টেল ফি বৃদ্ধির মতো যে গুরুতর ইস্যুতে বামপন্থীরা লড়াই করছেন, মূর্তি ভাঙার মতো ঘটনা সামনে এনে এবিভিপি আসলে সেই এজেন্ডাকেই অন্য দিকে ঘুরিয়ে দিতে চাইছে। ছাত্রছাত্রীরা যাতে সুবিচার না পায়, সেই উদ্দেশ্যেই আরএসএস এবং এবিভিপি ষড়যন্ত্র করছে। তাদের এই পরিকল্পনা সফল হতে দেওয়া যাবে না।
এবিভিপির পক্ষ থেকেও কিন্তু সরাসরি বামপন্থীদের বিরুদ্ধে মূর্তি বিকৃতির অভিযোগ করা হয়নি। পরিবর্তে এবিভিপির অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠন এবং অন্যান্য দৈনন্দিন কাজকর্ম বিঘ্নিত করার চেষ্টা প্রথম দিন থেকেই করে যাচ্ছে বামপন্থীরা। স্বামী বিবেকানন্দের যে মূর্তিটিকে বিকৃত করার অভিযোগ উঠেছে, সেটির উদ্বোধনই হয়নি বলেও এসএফআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। সিপিএমের ওই ছাত্র সংগঠনের দাবি, গত এক বছর ধরেই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে মূর্তিটিকে ঢাকা দিয়ে রাখা হয়েছে। তার আবরণ উন্মোচন হয়নি। জেএনইউয়ের হস্টেল ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে গত তিনদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ অবস্থান করে চলেছেন ছাত্রছাত্রীরা। এমনকী বিক্ষোভের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ে আটকে পড়েন স্বয়ং কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক। তাঁকে এবং জেএনইউয়ের উপাচার্যকে প্রায় সাত ঘণ্টা আটকে থাকতে হয়েছিল। অবস্থা সামাল দিতে পুলিসের বিরুদ্ধে ছাত্রছাত্রীদের উপর লাঠি চালানোর অভিযোগও ওঠে। তাতে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়। চাপের মুখে অবশ্য গতকালই বর্ধিত হস্টেল ফি আংশিক প্রত্যাহার করে নেয় জেএনইউ। কিন্তু পুরো প্রত্যাহার করার দাবিতে ছাত্রছাত্রীরা এখনও আন্দোলন থেকে সরেননি। আজও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ চলছিল। তারই মধ্যে মূর্তি বিকৃত করার অভিযোগ ওঠে।