শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ। ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
মহন্ত নৃত্যগোপাল দাস একথা বললেও ভিন্ন সুর দিগম্বর আখড়ার প্রধান মহন্ত সুরেশ দাসের কণ্ঠে। তাঁর বক্তব্য, ‘রাম জন্মভূমি ন্যাস নয়, ট্রাস্ট গঠনের দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের। তবে সেই ট্রাস্টে ন্যাসের প্রতিনিধি থাকা উচিত।’ নির্মোহী আখড়ার প্রধান মহন্ত দীনেন্দ্র দাস বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই ট্রাস্ট গঠন করতে হবে।’ নির্মোহী আখড়ার সদস্যরা কি সেই ট্রাস্টে থাকবেন? দীনেন্দ্র দাসের জবাব, ‘নির্মোহী আখড়াও একটি ট্রাস্ট। সরকারি ট্রাস্টে যোগ দেওয়া হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত আখড়ার সদস্যরাই নেবেন।’ এবিষয়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে ত্রিলোকনাথ পাণ্ডের আবার বক্তব্য, ‘সরকারকেই ট্রাস্ট গঠন করতে হবে। সেখানে সরকারের প্রতিনিধিও থাকতে হবে।’ তাঁর দাবি, ‘সরকারি ট্রাস্টের সভাপতি করা হোক মহন্ত নৃত্যগোপাল দাসকে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তৈরি করার নকশা মোতাবেকই মন্দির হওয়া উচিত। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ যেসব পাথর প্রস্তুত করে রেখেছে, মন্দির নির্মাণে তার ব্যবহার হওয়া উচিত।’ পাণ্ডের আরও দাবি, সরকারি খরচে নয়, মন্দির তৈরির জন্য ট্রাস্ট গঠনের পর হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছ থেকে অনুদান সংগ্রহ করতে হবে।
ট্রাস্ট গঠনের ইস্যুতে সন্তদের বিভিন্ন মতামত সামনে আসার মধ্যেই এদিন প্রতিক্রিয়া সামনে এসেছেন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি ও পর্যটনমন্ত্রী প্রহ্লাদ প্যাটেলের। এবিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কীভাবে ট্রাস্ট গঠন হবে, কারা তার সদস্য হবেন, সেই সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীর স্তরে নেওয়া হবে। এবিষয়ে আমি বাড়তি কোনও মন্তব্য করতে পারব না।’ এরই মধ্যে এদিন জমিয়ত উলেমা-ই-হিন্দের (জেইউইএইচ) প্রধান মৌলানা আরশাদ মাদানি বলেন, মুসলিমরা শুধুমাত্র জমির জন্য ৭০ বছর ধরে অযোধ্যা মামলা লড়েননি, লড়েছেন তাঁদের অধিকারের জন্য। সুপ্রিম কোর্টের রায় খতিয়ে দেখার আবেদন করা হবে কি না, বৃহস্পতিবার তা নিয়ে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।