শরীর-স্বাস্থ্যের আকস্মিক অবনতি। বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদ। ব্যবসায় নতুন সুযোগ ... বিশদ
উত্তরপ্রদেশের এটা জেলার জলেশ্বরের বাসিন্দা ইকবাল। দীর্ঘ প্রায় চার দশক ধরে কারুশিল্পের সঙ্গে যুক্ত তিনি। তাঁর অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার মিশেলে তৈরি হওয়া পেল্লাই ঘণ্টা দেখতে এখনই ভিড় জমছে মিত্তালদের ওয়ার্কশপে। কেউ কেউ এক পলক ইকবালকে দেখে নেওয়ার সুযোগও হাতছাড়া করছেন না। অথচ, নির্বিকার ইকবাল। ঘণ্টা তৈরির শেষ পর্যায়ের সামান্য কিছু কাজ বাকি। মনোযোগ দিয়ে সেই কাজই সম্পন্ন করতে একরকম নাওয়া-খাওয়া ভুলেছেন ইকবাল।
অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে মন্দির না মসজিদ? মীমাংসার মামলা তখনও সুপ্রিম কোর্টে ঝুলে। তার মধ্যেই রামমন্দিরের ঘণ্টা তৈরির বরাত পেয়েছিল মিত্তালদের ‘জলেশ্বর নগর পালিকা’ কারুশিল্প সংস্থা। কে বা কারা এমন প্রকাণ্ড ঘণ্টা তৈরির বরাত দিয়েছিলেন, তা নিয়ে মুখ না খুললেও সংস্থার চেয়ারম্যান বিকাশ মিত্তাল বুধবার বলেছেন, ‘মন্দিরের জন্য বিশেষ ঘণ্টা তৈরি করার কাজে আমাদের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। সেই কারণেই রামমন্দিরের ঘণ্টা তৈরির বরাত পেয়েছিলাম। নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেই কাজ শেষ করাই এখন অন্যতম লক্ষ্য।’ তবে প্রস্তাবিত রামমন্দির নির্মাণের আগেই ঘণ্টার কাজ ইকবাল শেষ করে ফেলবেন বলেই আশাবাদী বিকাশ। সেই সঙ্গে তিনি এও জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে উত্তরপ্রদেশ জুড়েই ঘণ্টার চাহিদা বেড়েছে। তাঁর সংস্থাও বরাত পাচ্ছেন প্রচুর। চাহিদার সঙ্গে জোগানের ভারসাম্য বজায় রাখতে নতুন করে কর্মী নিয়োগ শুরু করেছেন তিনি।
রামমন্দিরের ঘণ্টা তৈরির কলাকৌশল নিয়ে এদিন সংবাদ সংস্থার কাছে টুঁ শব্দটিও করেননি ইকবাল। তবে জানা গিয়েছে, ২ হাজার ১০০ কেজির ঘণ্টা তৈরির পুরো পরিকল্পনাটাই তাঁরই। ঘণ্টার ব্যাসের আয়তন ছ’ ফুটের কাছাকাছি। উচ্চতা পাঁচ ফুট। ঘণ্টাটির দাম ধার্য করা হয়েছে ১০-১২ লক্ষ টাকা। সেটি ঝোলানোর জন্য বিশেষ পরিকাঠামো তৈরিরও পরামর্শ দিয়েছেন ইকবাল। এমনটাই সূত্রের খবর।