পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
প্রধান বিচারপতির দপ্তরকে আরটিআইয়ের আওতায় আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই নির্দেশের যাতে অপব্যবহার না হয়, সেবিষয়ে সতর্ক করেছেন বিচারপতিরা। বেঞ্চ জানিয়েছে, তথ্য জানার অধিকারকে নজরদারির অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। সেই সঙ্গে স্বচ্ছতা নিয়ে কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার সময় বিচার বিভাগের স্বাধিকারের কথাও মাথায় রাখতে হবে। গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রধান বিচারপতির দপ্তর নিয়ে তথ্য দেওয়ার আগে স্বচ্ছতার সঙ্গে এর ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে।
সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চে প্রধান বিচারপতি গগৈ ছাড়াও বিচারপতি এন ভি রামান্না, বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি দীপক গুপ্তা এবং বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ছিলেন। বুধবার বিচারপতি নিয়োগে কলেজিয়ামের বিষয়েও নির্দেশ দিয়েছেন তাঁরা। এই ব্যাপারে স্বচ্ছতা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। আদালত জানিয়েছে, নিয়োগের ক্ষেত্রে কলেজিয়ামের প্রস্তাবিত বিচারপতিদের কেবলমাত্র নাম প্রকাশ করা যাবে। কিন্তু, তার কোনও কারণ জানানো যাবে না।
নিঃসন্দেহে ঐতিহাসিক রায়। তবে এদিন পাঁচ বিচারপতি রায়ের ব্যাপারে একমত হতে পারেননি। তাই, সংখ্যাধিক্যের ভিত্তিতেই এই রায় দিয়েছে শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি গুপ্তা ও বিচারপতি খান্না একটি মত প্রকাশ করেন। পাশাপাশি, বিচারপতি রামান্না ও বিচারপতি চন্দ্রচূড় এই মামলায় আলাদা আলাদা রায় দান করেন। বিচারপতি খান্না বলেন, বিচারবিভাগের স্বাধীনতা এবং স্বচ্ছতা উভয়ের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা দরকার। তাঁর সঙ্গে সহমত পোষণ করেন বিচারপতি রামান্না। বলেন, গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার, স্বচ্ছতা এবং বিচারবিভাগের স্বাধিকারের মধ্যে ভারসাম্য রাখার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা রাখা উচিত। যে কোনও মূল্যে বিচার বিভাগের স্বাধিকার রক্ষা করতে হবে। অন্যদিকে, বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানান, বিচারপতিরা সাংবিধানিক পদে বসেন ও জনস্বার্থে কাজ করেন। তাই বিচার ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ আড়াল করা ঠিক নয়। তবে তিনিও স্বাধিকার রক্ষার কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে দিল্লি হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতি এপি শাহর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ যুগান্তকারী রায় দিয়ে জানিয়েছিল, প্রধান বিচারপতির দপ্তরও আরটিআইয়ের আওতায় পড়বে।