রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
পোস্টাল দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামীণ ডাক সেবকদের আগে এক্সট্রা ডিপার্টমেন্টাল স্টাফ বলা হত। পোস্ট অফিসের গ্রুপ সি কর্মী সহ অন্যান্য আধিকারিকদের বেতন কাঠামো ও সুযোগ সুবিধার কিছুই পেতেন না গ্রামীণ ডাক সেবকরা। পরবর্তী সময়ে বেশ কিছু দাবি মেনে নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। তার মধ্যে গ্রামীণ ডাক সেবকদের বছরে পাঁচ দিনের ইমার্জেন্সি লিভ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বদলির সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। মহিলা গ্রামীণ ডাক সেবকদের ১৮০ দিনের সবেতন মাতৃত্বকালীন ছুটিও কার্যকর করা হয়েছে। এবার গ্রামীণ ডাক সেবকদের ছেলেমেয়েদের পঠন পাঠনের জন্য শিক্ষা ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
অক্টোবর মাসের শেষে পোস্টাল দপ্তরের ওয়েস্টবেঙ্গল সার্কেলের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর (স্টাফ, ই এন্ড পিএন) জেলার পোস্টাল সুপারিনটেনডেন্ট সহ অন্যান্য পদাধিকারীদের এই বিষয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন। ওই চিঠির সঙ্গে দিল্লি থেকে আসা এই সংক্রান্ত চিঠির কপিও দেওয়া হয়েছে। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, গ্রামীণ ডাক সেবকদের ছেলেমেয়েদের পড়াশুনার জন্য শিক্ষা ভাতা দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে তাঁদের প্রথম দুই সন্তান এই সুবিধা পাবে। তবে দ্বিতীয় সন্তান হওয়ার সময় যমজ সন্তান হলে তারাও পড়ার খরচ পাবে। প্রত্যেক সন্তানের পঠনপাঠনের জন্য বছরে ছ’হাজার টাকা দেওয়া হবে। এই টাকা পাওয়ার জন্য ছেলে কিংবা মেয়ে যে স্কুলে পড়ে সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের থেকে সার্টিফিকেট নিয়ে তা দপ্তরে জমা দিতে হবে। সেই সার্টিফিকেটের ফর্ম দপ্তর থেকেই সংগ্রহ করতে পারবেন গ্রামীণ ডাক সেবকরা। ওই স্কুলেই যে গ্রামীণ ডাক সেবকদের ছেলে কিংবা মেয়ে পড়ছে, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য এই সার্টিফিকেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে স্বামী ও স্ত্রী গ্রামীণ ডাক সেবকের চাকরি করেন। সেক্ষেত্রে যেকোনও একজনকে এই সুবিধা দেওয়া হবে। প্রত্যেক আর্থিক বছরের শেষে এই এই টাকা গ্রামীণ ডাক সেবকদের দেওয়া হবে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, পঠন পাঠনের ফলাফলের ভিত্তিতে এই টাকা দেওয়া হবে না। যদি কোনও ছাত্রছাত্রী কোনও ক্লাসে অকৃতকার্যও হয় সেক্ষেত্রেও এই সুবিধা দেওয়া হবে। কর্মরত অবস্থায় কোনও গ্রামীণ ডাক সেবক মারা গেলে তাঁর ছেলে ও মেয়েরাও এই সুবিধা পাবেন। তবে মৃত গ্রামীণ ডাক সেবকের স্বামী কিংবা স্ত্রী যদি কোনও কেন্দ্রীয় কিংবা রাজ্য সরকারের কোনও সংস্থা বা অফিসে কাজ করেন, সেক্ষেত্রে তিনি এই সুযোগ আর পাবেন না। নার্সারি থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পঠন পাঠনের জন্য এই সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে।
গ্রামীণ ডাক সেবক (এনএফপি) সংগঠনের ওয়েস্টবেঙ্গল সার্কেলের সম্পাদক তপন ভৌমিক বলেন, গ্রাম কিংবা শহরের পোস্ট অফিস চালানোর মূল কারিগর গ্রামীণ ডাক সেবকরা বছরের পর বছর ধরে বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন। গত বছর ১৬ দিনের লাগাতার ধর্মঘটের পর আমাদের গুটিকয় দাবি মানা হয়েছে। তার মধ্যে শিক্ষা ভাতা রয়েছে। এছাড়া অন্যান্য দাবি যতদিন না মানা হবে আমাদের লড়াই সংগ্রাম চলবে।