বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
যদিও কংগ্রেসের কাছ থেকে প্রাথমিকভাবে সমর্থনের ইঙ্গিত পেয়েই এদিন সন্ধ্যায় রাজ্যপাল ভগত সিং কেশিয়ারির কাছে গিয়ে সরকার গড়ার দাবি করে শিবসেনা। সরকার গড়তে চাওয়া হয় আরও ৪৮ ঘণ্টা সময়। কিন্তু রাজ্যপাল তা নাকচ করে দিয়েছেন। ফলে জটিলতা আরও বেড়ে গেল মহারাষ্ট্রে। রাজ্যপাল এরপর রাতেই তৃতীয় বৃহত্তম দল এনসিপিকে সরকার গড়তে ডেকেছেন। এরপর মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন হবে নাকি জারি হবে রাষ্ট্রপতি শাসন? রাজনৈতিক মহলে তা নিয়ে তৈরি হয়েছে তুমুল জল্পনা। এদিন দিনভর শিবসেনাকে সমর্থন দেওয়ার ব্যাপারে এনসিপি দ্বিধায় না থাকলেও দলের ভাবমূর্তি এবং প্রদেশ নেতৃত্বের মতকে গুরুত্ব দিতেই বেশ কিছুটা দোলাচলে রয়েছেন সোনিয়া। মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের একাংশ চাইছে শিবসেনাকে সমর্থন দিতে, অপর একটি অংশ দিচ্ছে বাধা। শিবসেনাকে সমর্থন করা নিয়ে কংগ্রেসের দুই প্রবীণ নেতা এ কে অ্যান্টনি এবং কে সি বেণুগোপালও আপত্তি তুলেছেন। যদিও আহমেদ প্যাটেল তাঁদের বোঝান, বিজেপিকে আটকে দেওয়া যাবে, প্রাথমিকভাবে এটাই সবচেয়ে বড় কথা। তাছাড়া শিবসেনাও কংগ্রেসের শর্ত মেনে নিয়েছে। তাই বাইরে থেকে সমর্থন করলে রাজনৈতিক অবস্থানের ভাবমূর্তিতে কোনও কুপ্রভাব পড়বে না।
রাজনৈতিক লাইনে পার্থক্য থাকলেও কংগ্রেস-সেনার বোঝাপড়া এর আগেও হয়েছে। ১৯৬৭ সালে লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রার্থী এস জি বারভেকে সমর্থন করেছিলেন বালাসাহেব থ্যাকারে। বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস প্রার্থী নেহরু ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করা ভি কে কৃষ্ণ মেননকে হারাতে সাহায্য করেছিলেন একটি চমকপ্রদ কার্টুন এঁকে। ১৯৮০-র বিধানসভায় কংগ্রেসের আবদুল রহমান আন্তুলের বিরুদ্ধে কোনও প্রার্থী দেয়নি শিবসেনা। ২০০৭ এবং ২০১২ সালে কংগ্রেস মনোনীত রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী প্রতিভা পাতিল এবং প্রণব মুখোপাধ্যায়কে ভোট দিয়েছিল শিবসেনা।
এনডিএ থেকে শিবসেনাকে বের করে আনার প্রধান কারিগর হলেন শারদ পাওয়ার। তিনিই শিবসেনাকে পিছন থেকে বিজেপির সঙ্গে টক্করের ইন্ধন যুগিয়েছেন। কংগ্রেসও সুযোগ হাতছাড়া করতে চায়নি। শারদ পাওয়ারের মাধ্যমে সোনিয়া গান্ধী উদ্ধব থ্যাকারেকে বার্তা দিয়েছিলেন, শিবসেনা মুখ্যমন্ত্রী হলে আপত্তি নেই। তবে সবার আগে মোদি মন্ত্রিসভা থেকে শিবসেনাকে ইস্তফা দিতে হবে। শর্তে রাজি হন উদ্ধব। সকালেই দিল্লিতে মোদি মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিলেন অরবিন্দ সাওয়ান্ত। সেনা প্রধান উদ্ধব থ্যাকারের নির্দেশে ইস্তফা দেওয়ার পর থেকেই মহারাষ্ট্রে সরকার গড়ার দৌড়ে নামল দিল্লি এবং মুম্বই।