গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
সম্প্রতি হস্টেল নীতিতে বদল এনেছে জেএনইউ কর্তৃপক্ষ। হস্টেলের জল-বিদ্যুতের ভাড়া বৃদ্ধি সহ লাইব্রেরি ব্যবহারের সময় পরিবর্তন, পড়ুয়াদের পোশাক বিধিতে বদল সহ বেশকিছু নীতিতে পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। তার প্রতিবাদে গত ১৫ দিন ধরে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন জেএনইউর পড়ুয়ারা। পরিস্থিতি সামলাতে ক্যাম্পাসে কেন্দ্রীয় বাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছিল। তাতেও প্রতিবাদে ছেদ পড়েনি। সমাবর্তনের দিন যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেজন্য কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছিল বসন্তকুঞ্জ। জেএনইউ থেকে তিন কিমি দূরে অবস্থিত এআইসিটিইর গেট তালা বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। ভিতরে ও বাইরে মোতায়েন করা হয়েছিল নিরাপত্তারক্ষী। জেএনইউর উত্তর ও পশ্চিম গেটের বাইরে ব্যারিকেড করা হয়েছিল। পাশাপাশি, এআইসিটিই এবং জেএনইউয়ের মধ্যবর্তী রাস্তাতেও ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু, সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ হাতে প্লাকার্ড নিয়ে সেই ব্যারিকেড ভেঙে ক্যাম্পাসের দিকে এগতে থাকেন বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের দল। স্লোগান তোলেন ‘গো ব্যাক দিল্লি পুলিস’। সেইসঙ্গে জেএনইউর ভাইস চ্যান্সেলর এম জগদীশ কুমারকে ‘চোর’ আখ্যা দেন পড়ুয়ারা। পুলিসের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। জলকামান চালিয়েও বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ব্যর্থ হয় পুলিস। জেএনইউর ছাত্র সংসদের সভাপতি ঐশী ঘোষ বলেন, ‘আমাদের এখানেই শেষ হচ্ছে না। ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) যাতে পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেন, সেজন্য মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানাচ্ছি। আজ ভিসির জন্যই এই অবস্থা।’
পড়ুয়াদের দাবি ছিল, জগদীশ কুমারকে তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে হবে। কিন্তু, সন্ধ্যা পর্যন্ত তা করেননি। উল্টে, উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডুর সঙ্গে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যাওয়া মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী রমেশ পোখরিয়ালকে ক্যাম্পাসের মধ্যেই আটকে রেখে দেন বিক্ষোভকারীরা। যা নিয়ে বিবৃতিও দেয় মন্ত্রক। নিজেদের দাবি নিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন পড়ুয়াদের এক প্রতিনিধিদল। তা সত্ত্বেও কোনও সমাধান সূত্রে পৌঁছনো যায়নি। ছ’ঘণ্টার বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে আটকে থাকার পর সেখান থেকে যেতে পারেন পোখরিয়াল। ঐশী আরও বলেছেন, ‘এটা আমাদের কাছে ঐতিহাসিক দিন যে, আমরা ব্যারিকেড ভেঙে সমাবর্তন অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছে গিয়েছি। এবং মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। আগামী বুধবার বৈঠকে বসছেন এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের সদস্যরা। তাঁদের সেই বৈঠকে হস্টেলের নয়া নীতি বাতিল করার আর্জি জানাচ্ছি।’
প্রসঙ্গত, নয়া হস্টেল নীতিতে বসানো হয়েছে ১৭০০ টাকা সার্ভিস চার্জ। এককালীন মেস সিকিউরিটি ফি (ফেরতযোগ্য) ৫৫০০ থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ১২ হাজার টাকা। এক শয্যার ঘরের ভাড়া ২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে প্রতি মাসে ৬০০ টাকা। দু’শয্যার রুমের ভাড়া ১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে প্রতি মাসে ৩০০ টাকা।