চেন্নাই, ১০ নভেম্বর (পিটিআই): প্রয়াত ভারতের প্রাক্তন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার টি এন সেশন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। রবিরার রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ চেন্নাইতে নিজের বাসভবনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে তাঁর স্বাস্থ্য ভালো যাচ্ছিল না। টি এন সেশনকে ভারতের নির্বাচনী সংস্কারের জনক বলা হয়ে থাকে। আদর্শ নির্বাচনী আচরণ বিধির চালুর মতো বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত তাঁরই সময় নেওয়া হয়। ১৯৯০ থেকে ৯৬ পর্যন্ত তিনি ভারতের মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। কমিশনকে অন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছিলেন তিনি। ভারতের নির্বাচনী ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনার জন্য এশিয়ার নোবেল বলে পরিচিত রামন ম্যাগসাইসাই পুরস্কারে তাঁকে সম্মানিত করা হয়। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ট্যুইট, ‘তিনি ছিলেন এক অনন্য সাধারণ আমলা। তাঁর মৃত্যুতে আমি মর্মাহত।’ অপরদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ট্যুইট, ‘টি এন সেশনের মৃত্যুর খবরে আমি মর্মাহত। অবাধ এবং মুক্ত নির্বাচনের তিনি অন্যতম পথিকৃৎ। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় তাঁর অবদান চিরকাল স্মরণ করা হবে। তাঁর পরিবার এবং গুণগ্রাহীদের প্রতি আমি সমবেদনা জানাই।’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গাদকারির ট্যুইট, ‘তিনি ছিলেন সত্যিকারের একজন কিংবদন্তি। নির্বাচনী ব্যবস্থায় সংস্কারে তাঁর অবদান ভবিষ্যতেও পথপ্রদর্শকের কাজ করবে। আমার গভীর সমবেদনা রইল।’ তাঁর মৃত্যুতে কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরের ট্যুইট, ‘টি এন সেশনের মৃত্যুতে আমি গভীর শোকাহত। পালাক্কাড়ের ভিক্টোরিয়া কলেজে তিনি ছিলেন আমার বাবার সহপাঠী। নির্বাচন কমিশনের স্বাতন্ত্র রক্ষায় তিনি ছিলেন অনমনীয়। তাঁর আগে কেউ এই কাজ করেননি।’
১৯৫৫ সালের তামিলনাড়ু ক্যাডারের এই আমলা বরাবরই একটু অন্যরকম। আইএএস হওয়ার পরে তামিলনাড়ুর একাধিক সচিবের পদ তিনি পালন করেছিলেন। পরে তিনি কেন্দ্রের একাধিক দপ্তরের সচিব ছিলেন। ভারতের মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব নেওয়ার আগে তিনি কেন্দ্রের ক্যাবিনেট সচিবের দায়িত্বে ছিলেন। সফল কেরিয়ার আমলা থেকে অবসর নিয়ে ১৯৯৭ সালে তিনি রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হয়েছিলেন। তবে কে আর নারায়ণনের কাছে হেরে যান।