গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
প্লাস্টিক সমস্যা সমাধানে লখনউয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পড়ুয়া অভিষেক ভার্মা মাটির ইটের থেকে শক্তিশালী সিমেন্টের ইট বানিয়ে ফেলেছেন। সেই সিমেন্টের মধ্যে আবার প্লাস্টিকের কুচি মিশিয়েছেন। তাঁর দাবি, এই প্লাস্টিকের কুচি দেওয়া মিনেন্টের ইট সাধারণ ইটের তুলনায় অনেক শক্তপোক্ত হবে। ইট তৈরির জন্য ক্রমাগত মাটির ব্যবহারের ফলে বিভিন্ন জায়গায় ভূমিক্ষয়ের আশঙ্কা থাকে, নতুন এই ইটের ব্যবহারে সেই সমস্যা মিটবে বলেই তাঁর দাবি। একইসঙ্গে প্লাস্টিকেরও পুনর্ব্যবহার হয়ে যাবে। আবার সেকেন্দরাবাদের দুই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া বি সাইকৃষ্ণ এবং বিকাশ রেড্ডি আবার প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে তাপ এবং চাপের সাহায্যে টাইলস তৈরি করেছেন। তাঁদের দাবি, সাধারণ টাইলসের থেকে তা অনেক বেশি পোক্ত। আগামী দিনে নিজেদের রাজ্যে এই টাইলস তৈরির কারখানা খোলার ইচ্ছেও তাঁদের রয়েছে বলে জানিয়েছেন। সেখানে কর্মসংস্থানেরও সুযোগ বাড়বে।
অন্যদের কর্মসংস্থান দেওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছেন বারাসতের ঋতীশ দাসও। ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র নিজেই তৈরি করেছেন, ট্যাঙ্কে জল তোলার স্বয়ংক্রিয় মোটর। অর্থাৎ ট্যাঙ্কে জল কমে গেলে, সঙ্গে সঙ্গে মোটর চালু হয়ে যাবে। আবার জল ভর্তি হয়ে গেলে, মোটর বন্ধ হয়ে যাবে। ঋতীশ দাস বলেন, ইতিমধ্যে তিনি তাঁর তৈরি মোটরের পেটেন্ট পেয়ে গিয়েছেন। একটি কোম্পানিও তৈরি করে ফেলেছেন। সেখানে ছ’জনকে কাজেও রেখেছেন। দু’মাসে প্রায় ১০০’র বেশি মোটর বিক্রি করেছেন। এভাবে চলতে থাকলে শীঘ্রই আরও বড় কোম্পানি খুলতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদী। শহরের আরও দুই ইঞ্জিনিয়ার বিপ্রজিত দাশগুপ্ত এবং সায়ক আচার্য আবার নারকেল ও সুপুরি গাছের খোলা থেকে প্লেট বানিয়েছেন। তার পাশাপাশি কাগজের পেন, ফেলে দেওয়া সিডি, ক্যাসেট ব্যবহার করে ঝাড়লণ্ঠন, ঘর সাজানোর বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করে ফেলেছেন। তাঁদের ইচ্ছা কোম্পানি তৈরি করে এই পণ্যগুলি বাজারে সাধারণের হাতে পৌঁছে দেওয়া।
একইভাবে বেঙ্গালুরুর মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র এইচ এম কিশোর আবার ফেলে দেওয়া নারকেলের ছোবড়া, শুকনো কলার খোসা ব্যবহার করেই জৈবিক রুম ফ্রেশনার তৈরি করেছেন। তিনি জানান, বর্জ্যের সঙ্গে বিভিন্ন ফুল বা গাছের থেকে পাওয়া জৈবিক সুগন্ধি মিশিয়ে সামান্য তাপে ও চাপে এরকম রুম ফ্রেশনার এবং সাবানের মতো পদার্থ তৈরি করা সম্ভব। তাঁরই বন্ধু বেঙ্গালুরুর বি টেক মেকানিক্যালেরর ছাত্র হর্ষিত সি সি আবার মাটিতে মিশে যাওয়ার উপযুক্ত জৈবিক প্লাস্টিক তৈরি করে ফেলেছন। তাঁদের সকলেরই লক্ষ্য বর্জ্যর সঠিক পুনর্ব্যবহার এবং কর্মসংস্থান গড়ে তোলা। একইসঙ্গে দেশের নিরাপত্তাকে আঁটোসাঁটো করতে এবং সেনা জওয়ানদের মৃত্যু ঠেকাতে রোবট সেনা তৈরিতেও নতুন নতুন পরিকল্পনার দিশা দেখাচ্ছে এই নব প্রজন্ম।