কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিকে, আরএসএস এবং মুসলিম সংগঠনগুলি উভয় পক্ষই অযোধ্যা রায়ের আগে শান্তি বজায় রাখার আবেদন করেছে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ১৯৯১ সাল থেকে অযোধ্যায় মন্দির নির্মাণের প্রস্তুতি হিসাবে নিরন্তর কাজ করেছে অযোধ্যায়। সেই বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এই প্রথমবার রায়দানের আগে মন্দির নির্মাণের কাজ বন্ধ রেখেছে। আজ থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক আরও আধা সামরিক বাহিনী পাঠাতে শুরু করেছে উত্তরপ্রদেশে। আগামী ১২ নভেম্বর কার্তিক পূর্ণিমার স্নান উপলক্ষে অযোধ্যা, বারাণসী, হরিদ্বার, উজ্জয়িনী, নাসিক, এলাহাবাদ, অমরকণ্টকে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীর ভিড় হবে বলে ধরে নেওয়া হয়েছে। আর তার পাশাপাশি ওইদিন বারাণসীতে উপস্থিত থাকবেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বারাণসীর ঘাটে দেব দীপাবলীর উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর আগমন এবং পুণ্যার্থীদের মাত্রাছাড়া ভিড়, অযোধ্যার পাশাপাশি বারাণসী নিয়ে রীতিমতো দিশাহারা উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। অযোধ্যাকে বস্তুত পুলিসনগরীতে পর্যবসিত করতে চাইছে সরকার। কার্তিক পূর্ণিমার আগেই অযোধ্যার জমি মামলার রায়দান হবে কি না, সেটাই আপাতত সবথেকে বড় আগ্রহ দেশজুড়ে।
বস্তুত সর্বোচ্চ আদালতের রায়দান যাই হোক, বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবারের কাছে এই রায়ের মাহাত্ম্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। অযোধ্যা আন্দোলনই বিজেপির রাজনৈতিক উত্থানের প্রধান মাধ্যম হয়েছিল নব্বইয়ের দশকে। বিজেপির প্রতিটি নির্বাচনী ইস্তাহারেই স্থান পেয়েছে মন্দির। সুতরাং রাজনৈতিক দিক থেকে তো বটেই, প্রশাসনিকভাবেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে অযোধ্যা রায় বিশেষ চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ, ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বরের সেই বাবরি মসজিদ ধ্বংসের জন্য করসেবকদের দায়ী করা হলেও কেন্দ্রে নরসিংহ রাও সরকারের দুর্বল প্রশাসনিক পদক্ষেপকেও দায়ী করা হয়। বিজেপিও সেই একই অভিযোগ করে এসেছে। এবার অযোধ্যা রায়ের পর মোদি ও অমিত শাহ তাই মরিয়া হয়ে নিশ্চিত করতে চাইছেন যে, রায় যাই হোক কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনাই যাতে না ঘটে। সেক্ষেত্রে প্রশাসনিকভাবেও বিজেপি যে শক্তিশালী সেই বার্তা দেওয়া যাবে। উত্তরপ্রদেশ রাজ্য এবং কেন্দ্র, উভয় জায়গাতেই বর্তমানে সরকারে রয়েছে বিজেপি। সুতরাং, আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলে অন্য কোনও দলকে দায়ী করা যাবে না। সেই কারণেই এবার মোদি সরকার অনেক বেশি সক্রিয় শান্তিরক্ষা নিশ্চিত করতে। সেই প্রয়াস সফল হয় কি না, আপাতত সেই অপেক্ষায় গোটা দেশ।