পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এদিকে, বিধানসভায় একক বৃহত্তম দল হওয়া সত্ত্বেও কেন রাজ্যপাল বিজেপিকে সরকার গঠনের জন্য ডাকছেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পাওয়ার। রাজ্যপাল কেন সে কাজ করছেন না, তা জানেন না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। এদিনই সরকার গঠন নিয়ে জট কাটাতে তাঁর পরামর্শ চাইতে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস আটওয়ালে। বৈঠক শেষে বেরিয়ে শারদ পাওয়ার সাংবাদিকদের জানান, ‘মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যে এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়া উচিত নয়। আটওয়ালে আমার পরামর্শ চেয়েছিলেন। আমরা এটা বিশ্বাস করি যে মানুষ স্পষ্টতই বিজেপি এবং শিবসেনাকে সরকারে চেয়েছেন।’ যত শীঘ্র সম্ভব এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে, সরকার গঠন নিয়ে জটিলতা কাটাতে অন্য দলগুলির কাছে কংগ্রেস এবং এনসিপিকে সমর্থন করার আর্জি জানিয়েছেন কংগ্রেস শীর্ষ নেতা শিবরাজ পাটিল। লোকসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষের মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে এটাই একমাত্র উপায়। তবে, কংগ্রেস এবং এনসিপি সম্ভবত এই ব্যবস্থায় রাজি হবে না। অন্য দল বলতে শিবরাজ কার্যত শিবসেনার দিকেই ইঙ্গিত করেছেন বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। যদিও, কংগ্রেস নেতা এব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি।
গত ২৪ অক্টোবর মহারাষ্ট্রের বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশ হয়েছে। ১০৫টি আসন নিয়ে বিধানসভায় বৃহত্তম দল হয়েছে বিজেপি। জোট শরিক শিবসেনার ঝুলিতে গিয়েছে ৫৬টি আসন। সরকার গঠনের জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে তাদের। কিন্তু, ক্ষমতায় আসার জন্য প্রথম থেকেই ৫০-৫০ ফর্মুলা মানার দাবি তুলেছে উদ্ধব থ্যাকারের দল। যা নিয়ে আপত্তি রয়েছে বিজেপির। এই জটিলতাতেই আটকে সরকার গঠন। এনসিপি এবং কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা যথাক্রমে ৫৪ এবং ৪৪। সংখ্যা বলছে একমাত্র শিবসেনা সমর্থন দিলেই সরকার গঠনের স্বপ্ন দেখতে পারে দু’দল।