পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এদিকে অযোধ্যার রায়ের প্রাক্কালে আজ রেলমন্ত্রকের পক্ষ থেকে ১৭টি জোনেই বিশেষ সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে। আরপিএফের পক্ষ থেকে পাঠানো ওই সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষিত হলে যাতে কোনও গোলমাল ছড়াতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে প্রহরা বাড়ানো দরকার। রামমন্দির ও বাবরি মসজিদের জমি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় ১৭ নভেম্বরের আগে যে কোনওদিনই দেবে সুপ্রিম কোর্ট। তাই শুধু উত্তরপ্রদেশ নয়, দেশজুড়েই হাই অ্যালার্ট জারি করতে চাইছে কেন্দ্র। কোনও ঝুঁকিই নিতে চাইছে না।
উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর এভাবেই কয়েক লক্ষ করসেবক অযোধ্যার বিতর্কিত স্থলে জমা হয়েছিল। এবং উত্তরপ্রদেশের পুলিশ সেই জনতাকে সামলাতে পারেনি। ধ্বংস হয়েছিল বাবরি মসজিদ। ১৩৪ বছরের পুরনো এই মন্দির-মসজিদ বিবাদের রায় অবশেষে ঘোষিত হতে চলেছে আগামী সপ্তাহেই। রায় ঘিরে উত্তেজনা যাতে না ছড়ায় তা নিশ্চিত করতে গতকাল রাত থেকেই গোরখপুর, কানপুর, বারাণসীতে রুট মার্চ করেছে আধা সেনা। ইতিমধ্যেই ৪ হাজার আধা সেনা পাঠানো হয়েছে। আরও পাঠানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই অযোধ্যা জেলাকে পাঁচটি সিকিউরিটি জোনে বিভক্ত করা হয়েছে। আজই উত্তরপ্রদেশ পুলিশ বলেছে, সোস্যাল মিডিয়ার উপর কড়া নজরদারি করা হবে। কোনওরকম গুজব ছড়ানো হলেই তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরযু নদীর তীরকে কার্যত দুর্গে পরিণত করা হয়েছে। কংগ্রেস এবং বিজেপি উভয়ই বিগত কয়েকদিন ধরে দলের অন্দরে কড়া নির্দেশিকা দিয়েছে। রায় ঘোষণার আগে আগ বাড়িয়ে কোনও বিবৃতি তো নয়ই, রায়ের পরও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অবস্থান না জেনে যেন কোনও রাজ্যস্তরের নেতা মুখ না খোলে তাও নিশ্চিত করার কাজ চলছে। এই মর্মে প্রতিটি রাজ্য ইউনিটকে নির্দেশিকাও দিয়েছে দুই দলই। ২৭ বছর আগের ঘটনার কথা মনে রেখে তাই আবার অযোধ্যা, রামমন্দির ও বাবরি মসজিদকে ঘিরে দেশজুড়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। ঐতিহাসিক রায়ের জন্য অপেক্ষা করছে সবাই।