কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
গত কয়েক মাস ধরেই দেশের অর্থনীতি নিয়ে নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারকে নিশানা করে আসছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। সেজন্য কখনও মিডিয়া রিপোর্টকে হাতিয়ার করছেন, তো কখনও ট্যুইটারকে ঢাল করছেন তিনি। বৃহস্পতিবার দেশের অর্থনীতি নিয়ে ফের মোদি সরকারকে তোপ দাগেন সোনিয়া-কন্যা। হিন্দিতে ট্যুইট করে কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক লেখেন, ‘দেশের অর্থনীতির বেহাল অবস্থা। পরিষেবা ক্ষেত্রে ভেঙে পড়েছে। মানুষ প্রতিনিয়ত কর্মহীন হচ্ছেন। দেশবাসী যখন ভুগছে, তখন নিজেদের মতো করে ব্যস্ত রয়েছেন শাসকরা।’
একইসঙ্গে, ভারতীয়দের এইচ১-বি ভিসা বাতিল নিয়েও প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। ‘হাউডি মোদি’ অনুষ্ঠানের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি সরকারকে সকলের প্রশ্ন করা উচিত, তাদের শাসনে কারা সবথেকে উপকৃত হচ্ছেন? প্রধানমন্ত্রী আমেরিকা গিয়ে ‘হাউডি মোদি’ অনুষ্ঠান করলেন। কিন্তু, সেই আমেরিকাই সেখানে কাজ করতে যাওয়া ভারতীয়দের এইচবি-১ ভিসা বাতিল করল।’ সম্প্রতি আমেরিকার এক সংস্থা জানিয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের নীতিতে যে সমস্ত দেশের নাগরিকদের এইচ১-বি ভিসা বাতিল হয়েছে, তার মধ্যে সবথেকে ক্ষতি হয়েছে ভারতের। কারণ, দেশের তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলি সবথেকে বেশি ভারতীয়কে কাজের জন্য আমেরিকায় পাঠায়। এবং সেজন্য প্রয়োজন হয় এইচ১-বি ভিসার।
অন্যদিকে, আরসিইপি দেশগুলির সঙ্গে চুক্তিতে সই করার ইউপিএ সরকারের তৎকালীন সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল বলে জানিয়েছেন চিদম্বরম। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, মোদি সরকারকে সেই চুক্তি থেকে সরে আসার বর্তমান আর্জিও ঠিক। দেশের অর্থনীতির ‘বেহাল’ অবস্থাই মোদি সরকারকে সেই চুক্তি থেকে সরে আসতে বাধ্য করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। এদিন চিদম্বরমের অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ট্যুইট করে তাঁর পরিবার। সেখানে আরসিইপি চুক্তিতে যোগ দেওয়ার কংগ্রেসের তৎকালীন সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল বলে দাবি করা হয়েছে। ট্যুইটারে লেখা হয়েছে, ‘২০১৯ সালে দাঁড়িয়ে ভারত যাতে আরসিইপি চুক্তিতে সই না করে, সেজন্য কংগ্রেসের উপদেশ ঠিক। আসলে ২০১২ আর ২০১৯ সালের মধ্যে পার্থক্য হল, আজকের অর্থনীতির বেহাল অবস্থা। যা এনডিএ সরকারের অযোগ্য ম্যানেজমেন্টের ফল।’