ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
বেঙ্গালুরুর বিভিন্ন অঞ্চলের আবাসন কর্তৃপক্ষের এই পদক্ষেপ নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে। সমাজকর্মীদের বক্তব্য, শুধুমাত্র সন্দেহের বশে এধরনের পদক্ষেপ নেওয়া ঠিক হবে না। এর ফলে অসংখ্য পরিবার সমস্যার মুখে পড়বে। কাদুবিসানাহালি এলাকার এক আবাসনের বাসিন্দা আনাঘা কুলকার্নি বলেন, বাংলাদেশি পরিচারকদের আর আবাসনে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে শোনা যাচ্ছে। তবে আসোসিয়েশনের তরফে আমাদের এখনও কিছু বলা হয়নি। এটা সত্যি হলে চরম সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে কর্মরত দম্পতিদের। কর্ণাটকে এনআরসি চালু নিয়ে এটা বিজেপি সরকারের অবস্থানের কারণে করা হচ্ছে কি না, আমরা জানি না। কর্তৃপক্ষের তরফে এবিষয়ে উপযুক্ত নির্দেশিকা জারি করা উচিত। কারণ এই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে চর্চার ফলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
ডোমেস্টিক ওয়ার্কারস’ ইউনিয়নের হিসেব অমুযায়ী, বেঙ্গালুরুর বিভিন্ন অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সে রাঁধুনি, পারিচারক-পরিচারিকা, আয়া সহ বিভিন্ন কাজে যুক্ত রয়েছেন ২০ থেকে ২৫ হাজার বাংলাভাষী মানুষ। অপূর্বা দাস নামে এক বাসিন্দা বলছিলেন, সম্প্রতি আবাসনের নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে পুলিসের একটি বৈঠক হয়। তারপর থেকেই আবাসনে কর্মরত বাঙালিদের নিয়ে ব্যাপক অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। আমাদের আবাসনের আশপাশে পুলিসের টহলদারিও নজরে পড়ছে। পানাথুর এলাকার বাসিন্দা মায়া খান্না বলেন, আমাদের পাশের আবাসনে বাংলাভাষী পরিচারক-পরিচারিকা ও শ্রমিকদের ঢোকা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পরিচারক-পরিচারিকাদের অধিকার নিয়ে কাজ করা ‘সমিতি’ নামে একটি সংগঠনের বক্তব্য, এই পদক্ষেপ পুরোপুরি অদ্ভূত। শুধুমাত্র বাংলাভাষী মুসলিম হওয়ার কারণে কাউকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী সন্দেহে কাজ থেকে ছেঁটে ফেলা যায় না। তাই যদি হয়, তাহলে এমএনসিগুলিতে কর্মরত বাংলাভাষীদের কী হবে? কেন শুধুমাত্র ঠিকা শ্রমিকদের নিশানা বানানো হচ্ছে?