পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বন্ধুর উপর হামলার ঘটনা সামনে থেকে দেখেছিলেন পারভেজ। তারপর থেকে এক মুহূর্তের জন্যও সঞ্জীবকে ছেড়ে হাসপাতাল থেকে বের হননি এই কাশ্মীরি যুবক। হামলার পরের দিন শ্রীনগর চলে এসেছিলেন সঞ্জীবের পরিবারের সদস্যরা। শুধু বন্ধুর সেবাযত্নই নয়, তাঁর বাড়ির লোকজন যাতে কোনও সমস্যায় না পড়েন, সেই দায়িত্বও পালন করছেন পারভেজ।
সঞ্জীবের বাবা যশপাল বলেন, গুলি চলার দিন থেকেই পারভেজ সঙ্গে রয়েছে। এক মিনিটের জন্যও সে হাসপাতাল ছেড়ে যায়নি। পারভেজের জন্যই সঞ্জীব বেঁচে রয়েছে। ভেন্টিলেটর থেকে বের করা হয়েছে আমার ছেলেছে। আমরা প্রত্যেকে পারভেজের প্রতি কৃতজ্ঞ। শুরুর দিকে গোটা রাত জেগে কাটাত পারভেজ।
দক্ষিণ কাশ্মীরের জঙ্গি উপদ্রুত সোপিয়ানে বাড়ি পারভেজের। এই কাশ্মীরি যুবকের বক্তব্য, দু’বছর ধরে তিনি সঞ্জীবকে চেনেন। দু’জনের পরিবারের মধ্যেও পরিচিতি গড়ে উঠেছে। পারভেজের কথায়, প্রায় তিন সপ্তাহ হয়ে গেল হাসপাতালেই রয়েছি। আমার বাড়ির লোকজন এসেছিল। কিন্তু সবাইকে বলে দিয়েছি, সঞ্জীব পুরোপুরি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত ওর সঙ্গে হাসপাতালেই থাকব।
একদিকে এই কাশ্মীরি যুবকের মানবতার নজির, অন্যদিকে হিংসা অব্যাহত জম্মু ও কাশ্মীরে। পুলিসের বক্তব্য, জোর করে দোকানপাট বন্ধ রাখার লক্ষ্যে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে জঙ্গি ও দুষ্কৃতীরা। মানুষ যাতে বাড়ির বাইরে না বের হন, অনবরত সেই প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তারা। আতঙ্কের পরিবেশ তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জঙ্গিরা। আসে সেই লক্ষ্যেই শ্রীনগরের ব্যস্ত গনি খান বাজার ও কাকা সরাই এলাকায় গ্রেনেড হামলা চলেছে। সোমবার গনি খান বাজারে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় রাস্তার ধারে পসার নিয়ে বসা এক বিক্রেতার মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন আরও ৩৫ জন। গত সপ্তাহে কাকা সরাই এলাকায় হামলার ঘটনায় নিরাপত্তা বাহিনীর ছয় সদস্য জখম হয়েছিলেন। এই এলাকায় জঙ্গিদের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে অনেকেই দোকান খুলেছিলেন। কিন্তু রহস্যজনকভাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সেই দোকানগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
হিংসা ও আতঙ্ক সৃষ্টির এইসব ঘটনার মধ্যেই ফের সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তানি সেনা। কাঠুয়া জেলায় আন্তর্জাতিক সীমান্তের গ্রামগুলি লক্ষ্য করে মর্টার হামলা চলেছে মঙ্গলবার রাতে। এর ফলে দু’টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জখম হয়েছে বেশ কিছু গবাদি পশু। বিনা প্ররোচনায় পাকিস্তানের এই হামলার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন সীমান্ত এলাকার গ্রামবাসীরা। বুধবার তাঁরা পাকিস্তানের হামলার প্রতিবাদ করে যোগ্য জবাবের দাবি তোলেন। পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার দাবিও উঠেছে।