ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
প্রথম ইউপিএ জমানায় পি চিদম্বরম কেন্দ্রের অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ নেয় একাধিক কোম্পানি। অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ, রিয়েল এস্টেট, পরিকাঠামো ক্ষেত্রের উন্নতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় বিনিয়োগ করার নামে ওই ঋণ নেওয়া হয়েছিল। যার পরিমাণ ছিল সব মিলিয়ে ৭ হাজার ২০০ কোটির টাকারও বেশি। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও ওই সংস্থাগুলি ঋণের টাকা ফেরত পায়নি। টাকা জমা না পড়ায় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলির বিরুদ্ধে খোঁজখবর শুরু করে। দেখা যায়, ভুয়ো লেনদেন এবং ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে ব্যালান্স শিট তৈরি করে ঋণ নেওয়া হয়েছে সমস্ত ক্ষেত্রে। যে সব সংস্থা ঋণ নিয়েছিল, সেই তালিকা তৈরি করা হয়। ব্যাঙ্কগুলির তরফে সিবিআইয়ের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
তার ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করে দেখে, ওই সংস্থাগুলির অস্তিত্ব নেই। আবার কিছু কোম্পানি কাগজে-কলমে রয়েছে। অথচ তাদের নাম করে বছরের পর বছর ঋণ নেওয়া হয়েছে। সমস্ত তথ্য জোগাড় করে তার ভিত্তিতে মোট ৪২টি কেস রুজু করা হয়। ব্যাঙ্ক জালিয়াতি, প্রতারণা, ষড়যন্ত্র সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ আনা হয়। তার ভিত্তিতেই মঙ্গলবার একসঙ্গে ১৮৫টি জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। যার মধ্যে রয়েছে দিল্লি, অন্ধ্রপ্রদেশ, চণ্ডীগড়, গুজরাত, পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ সহ একাধিক রাজ্য। সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, ১১টি কেসের ক্ষেত্রে ঋণের পরিমাণ ছিল ১০০ কোটি থেকে ১০০০ কোটি টাকা। আর চারটি কেসে প্রতারণা অঙ্ক ১০০০ কোটির টাকারও বেশি। বাকিগুলিতে ১০০ কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলির অফিস, ডিরেক্টরদের বাড়ি সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি চলে। সেখান থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বহু নথি।
সিবিআই জেনেছে, এই ঋণ পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কে ওই সময়ে যাঁরা বড় পদে কর্মরত ছিলেন, তাঁদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হবে। বিনিময়ে তাঁরা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন কি না, তাও যাচাই করা হবে। নথি ঘেঁটে তদন্তকারী অফিসাররা জানতে পারছেন, ২০০৮ সালের পর থেকে এই ঋণ দেওয়া শুরু হয়। তখন কেন্দ্রে প্রথম ইউপিএ সরকার ছিল। আর সেই সরকারের অর্থমন্ত্রী ছিলেন পি চিদম্বরম। তদন্তে উঠে এসেছে, বেশ কিছু কোম্পানিকে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার জন্য তদ্বির করেছিলেন কয়েকজন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। একাধিক ব্যাঙ্ক কর্তার কাছে তাঁর ফোন গিয়েছিল বলে সিবিআই জানতে পেরেছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের ভূমিকাও যাচাই করা হবে।