নতুন কোনও কর্ম পরিকল্পনায় সাফল্যের ইঙ্গিত। লটারি বা ফাটকায় প্রাপ্তি যোগ। খেলাধূলায় কৃতিত্ব। বাক্যে ও ... বিশদ
পুলিশ বাহিনী যখন সদর দপ্তরের বাইরে বিদ্রোহে ফেটে পড়েছে, তখনই ইন্ডিয়া গেটে দলে দলে হাজির হন পুলিশ কর্মীদের স্ত্রী-সন্তান-মায়েরা। পুলিশ পরিবার ইন্ডিয়া গেটে ধর্নায় বসে। পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে যায় যখন পাশের রাজ্য হরিয়ানা থেকেও পুলিশ বাহিনী এসে যোগ দেয় দিল্লি পুলিশের এই বিদ্রোহে। একবার নয়, বারংবার পুলিশ কর্তারা সদরদপ্তরের গেটে এসে আবেদন করেন বিদ্রোহ বন্ধ করতে। কিন্তু নজিরবিহীন দৃশ্য দেখা যায় গভীর রাত পর্যন্ত। পুলিশ কমিশনার, জয়েন্ট সিপি, এসিপি প্রত্যেককে অগ্রাহ্য করে পুলিশ কর্মীরা বলেন, আমাদের কথা কেউ ভাবে না। আমরা রাতদিন কাজ করি। কিন্তু আমাদের সম্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলে সবাই।
প্রসঙ্গত দিল্লির পুলিশ কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে। সরাসরি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আওতায়। দিল্লি পুলিশকে কোনওদিন দেখা যায়নি এভাবে কাজ ছেড়ে বিদ্রোহ করতে। সেই বেনজির ঘটনায় আজ চরম অস্বস্তিতে পড়ে মোদি সরকার। বিদ্রোহীদের দাবি, দিল্লি পুলিশকে ইউনিয়ন গঠন করতে দিতে হবে। ইউনিয়ন ছাড়া কেউ আমাদের রক্ষা করবে না বলে জানান তাঁরা। দিল্লিতে শনিবার তিস হাজারি কোর্টে আইনজীবিদের সঙ্গে পুলিশ কর্মীদের সঙ্ঘাতের পর আইনজীবীরা রীতিমতো আইন নিজের হাতে তুলে নেন। পুলিশের গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। একের পর এক পুলিশ কর্মী অফিসারকে মারধর করা হয়। সেখানেই শেষ হয়নি। আইনজীবীরা কর্মবিরতির ডাক দেওয়ার পর গতকাল সাকেত আদালতে, করকরডুমা আদালতে পুলিশ কর্মীদের ঘিরে ধরে আইনজীবীরা গণপিটুনি দিয়েছেন। এক কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীকে চড়থাপ্পড় মেরে বের করে দেওয়া হয় কোর্ট চত্বর থেকে। এই দৃশ্যটি গতকাল থেকেই সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। পুলিশের অভিযোগ, তাঁরা মার খাচ্ছেন বিনা প্ররোচনায়, অথচ তাঁদেরই সাসপেন্ড করা হয়েছে। আইনজীবীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। এতেই গোটা দিল্লিতে তোলপাড় পড়ে যায়। দলে দলে বিভিন্ন থানা থেকে পুলিশ এসে যোগ দেয় বিদ্রোহে। দিল্লির কেন্দ্রস্থল আইটিও এলাকার যানচলাচল সম্পূর্ণ স্তব্ধ হয়ে যায়। আশঙ্কা তৈরি হয়, আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলে কে প্রতিরোধ করবে?