নতুন কোনও কর্ম পরিকল্পনায় সাফল্যের ইঙ্গিত। লটারি বা ফাটকায় প্রাপ্তি যোগ। খেলাধূলায় কৃতিত্ব। বাক্যে ও ... বিশদ
নিগমের প্রাক্তন এমডির গ্রেপ্তারির কথা স্বীকার করেছেন উত্তরপ্রদেশের ডিজি ও পি সিং। তিনি আরও বলেন, ‘রাজ্য পুলিসের আর্থিক অপরাধ দমন শাখা বিষয়টির তদন্ত করছে। মামলায় জড়িত সকলের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এদিন এই প্রসঙ্গে ট্যুইটারে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথের দপ্তরও। স্লোগান লেখা হয়েছে, ‘আব কি বার ভ্রষ্টাচার পে প্রহার’।
এক সরকারি মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘আরবপতি মিশ্র’ বা ‘কোটিপতি মিশ্র’ নামেই পরিচিত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব ঘনিষ্ঠ এ পি মিশ্র। যোগী আদিত্যনাথ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১৭ সালের ২৪ মার্চ তাঁকে এমডি পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়। সেই সময় তিনি দপ্তরের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফাইল সরিয়ে দেন বলে অভিযোগ। মিশ্রই প্রথম ইঞ্জিনিয়ার যাঁকে উত্তরপ্রদেশ বিদ্যুৎ নিগমের এমডি পদে প্রোমোশন দেওয়া হয়। এমনকী, অবসর নেওয়ার পরেও তিনবার তাঁর চাকরির মেয়াদ বাড়িয়েছিলেন অখিলেশ। সেই জমানায় একাধিক দুর্নীতিতে মিশ্র জড়িয়ে ছিলেন বলেও অভিযোগ তাঁর। গত লোকসভা নির্বাচনে তিনি সমাজবাদী পার্টির টিকিটপ্রার্থীও ছিলেন বলে দাবি করেছেন ওই মুখপাত্র।
সমাজবাদী পার্টি অবশ্য আগে থেকে এই কেলেঙ্কারিতে যোগী সরকারের উপরেই দায় চাপিয়েছে। অন্যদিকে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুললেও বিজেপি সরকারকে ছেড়ে কথা বলেননি বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতীও। বিজেপি সরকার যখন এই মহাকেলেঙ্কারি আটকাতে পারেনি, তখন এই অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের অর্থ কী, ট্যুইটারে সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। তাঁর মতে, সরকারের উচিত কর্মীদের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখার পাশাপাশি তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া।
গত রবিবার এই ঘটনায় হজরতগঞ্জ থানায় তৎকালীন উত্তরপ্রদেশ রাজ্য বিদ্যুৎ কর্মী ট্রাস্ট এবং উত্তরপ্রদেশ বিদ্যুৎ নিগমের প্রভিডেন্ট ফান্ড ট্রাস্টের সেক্রেটারি প্রবীণ কুমার গুপ্ত এবং নিগমের ফিনান্স বিভাগের তৎকালীন ডিরেক্টর সুধাংশু দ্বিবেদির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। তাঁদের গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।