বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য এবং ভবিষ্যৎ ভারতের কথা মাথায় রেখেই এ ধরনের সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে চাইছে মোদি সরকার। কোনওভাবেই যাতে জাঙ্ক ফুডের ব্যাপারে পড়ুয়াদের উৎসাহিত করা না হয়, তা নিশ্চিত করতে চাইছে সরকার। কোনও ব্যাপারে পড়ুয়াদের উৎসাহিত করতে হলে তৈলাক্ত বা লবণাক্ত মুখরোচক খাবার নয়। তাদের খেলনা, পোশাক, কোনও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগের মতো পুরস্কার দেওয়া হোক বলেই বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে জারি করা ওই খসড়া নিয়ে কারও কোনও প্রস্তাব বা পরামর্শ থাকলে তা আগামী এক মাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের অধীন ফুড সেফটি অ্যান্ড স্টান্ডার্ড অথরিটি অব ইন্ডিয়াকে জানানো যাবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকেরই সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে, দেশের ১০ থেকে ১৯ বছর বয়সীদের মধ্যে ৬ কোটি ৩০ লক্ষ মেয়ে এবং ৮ কোটি ১০ লক্ষ ছেলের স্বাস্থ্য স্বাভাবিক নয়। হয় বয়স অনুপাতে বেঁটে, নয়ত রোগা অথবা মোটা। এমনকী অধিক মেদযুক্তও। তাই নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রক আগেই স্কুলে জাঙ্ক ফুড ব্যবহারের উপর নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু তাতে তেমন কাজ না হওয়ায় এবার উদ্যোগী হয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস (সেফ ফুড অ্যান্ড হেলদি ডায়েটস ফর স্কুল চিলড্রেন) রেগুলেশনস ২০১৯-র মাধ্যমে উল্লেখিত উদ্যোগ নিতে চাইছে কেন্দ্র।
স্কুলে অথবা স্কুল চত্বরে জাঙ্ক ফুড বিক্রি বা খাওয়ার উপর যেমন একপ্রকার নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চলেছে কেন্দ্র, একইভাবে পড়ুয়ারা কী খাবে, কতটা খাবে তারও তালিকা তৈরি করে দিয়েছে ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অব ইন্ডিয়া। বিজ্ঞপ্তি বলছে, স্কুল পড়ুয়াদের খাদ্যতালিকায় যেন অবশ্যই নিম্নলিখিত খাদ্যবস্তুর ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ সর্বদা থাকে। যেমন ডাল, রাগি, বাজরার মতো শস্যদানা, টোনড দুধ, দই, ইয়গার্ট, পনীর, ডিম, মাছ, কম ফ্যাটযুক্ত মাংস, চিকেন। এছাড়া বাদাম, পেস্তা। সদ্য তৈরি দালিয়া, স্যুপ, সবজি, উপমা, ইডলি, পোহা, ধোকলা ইত্যাদি।
তবে কি জিভে রসনা আনা কোনও খাবারই মানা? না তা নয়। খসড়া বিজ্ঞপ্তি অনুসারে কখনওসখনও অথবা বুঝেসুজে আইসক্রিম, দুধের তৈরি মিষ্টি, প্যাকেট করা (কিন্তু ভাজা নয়) চিজ, প্রিসারভড ভেজিটেবল, সাদা পাউরুটি, হাই ফ্যাট বিস্কুট, স্যান্ডউইচ খাওয়া যেতে পারে। আর একেবারেই ব্রাত্য হিসেবে কেন্দ্র যে তালিকা তৈরি করেছে তা হল চুপচুপে তেলে ভাজা ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজ, চিপস, সিঙারা, ছোলে ভাটুরে, গুলাব জামুন, সুইটেনড কার্বনেটেড অথবা নন কার্বনেটেড ব্রেভারেজ, নুডলস, পিৎজা, বার্গার।