ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
আইআরসিটিসি’র জনসংযোগ আধিকারিক সিদ্ধার্থ সিং বলেছেন, ‘আমাদের স্পষ্ট নির্দেশ আছে, যাত্রীদের মধ্যে যে খাবার পরিবেশন করা হয়, তার গুণগত মানের সঙ্গে কোনওরকম আপোস যাতে করা না হয়। এক্ষেত্রে কার্যত জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে আইআরসিটিসি। অভিযোগ পাওয়া মাত্রই তদন্ত শুরু করে দেওয়া হয়। তা প্রমাণিত হলে এর গুরুত্ব খতিয়ে দেখে সংশ্লিষ্ট খাবার সরবরাহকারী সংস্থাকে ১০ হাজার থেকে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত আর্থিক জরিমানাও করা হবে। এমনকী খাবার পরিবেশনকারী সংস্থার লাইসেন্সও বাতিল করে দেওয়া হবে।’ কিন্তু রাজধানী, দুরন্ত এক্সপ্রেসের মতো প্রিমিয়াম ট্রেনগুলিতেও এভাবে শৌচালয়ের সামনে খাবার রেখে দেওয়া কেন? আইআরসিটিসি’র ওই শীর্ষ আধিকারিকের ব্যাখ্যা, রাজধানী এক্সপ্রেসের কোচগুলিতে যে মিনি প্যান্ট্রি কার থাকে, সেগুলির অবস্থান শৌচালয়ের পাশেই। সিদ্ধার্থ সিং বলেন, ‘রাজধানী এক্সপ্রেসের মিনি প্যান্ট্রি কার এমনভাবে তৈরি করা হয়, যাতে এর লেভেল অনেক উপরে থাকে। ফলে যাত্রীদের আশঙ্কা অমূলক।’
যদিও সাধারণ যাত্রীদের একটি বড় অংশের অভিযোগ, খাবার পরিবেশনের আগে যদি ট্রেনের শৌচালয়ের সামনে যাওয়া হয়, তাহলে অধিকাংশ সময়েই দেখতে পাওয়া যায় খাবার ভর্তি ট্রে’গুলি টয়লেটের সামনেই আটকানো একটি বার্থের উপর সার দিয়ে রাখা। অনেক সময়ই শৌচালয় থেকে আসা দুর্গন্ধের মধ্যেই খাবার ভর্তি সমস্ত ট্রে রেখে দেওয়া হয়। এমনিতেই চলন্ত ট্রেনে আইআরসিটিসি’র খাবার নিয়ে যাত্রীদের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। খাবারের গুণগত মানও ভালো নয়, কিংবা পরিমাণে অনেক অল্প, রেলের বিরুদ্ধে হামেশাই এমন অভিযোগ করেন যাত্রীরা। রেলের খাবার খেয়ে যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ার অভিযোগে বিক্ষোভের ঘটনাও ঘটেছে রেল স্টেশনে। এবার শৌচালয়ের সামনে খাবার ভর্তি ট্রে রাখা নিয়েও যাত্রীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে।
রেলমন্ত্রক সূত্রে জানা যাচ্ছে, মাসকয়েক আগে এই ইস্যুতে নিজেদের পাঁচটি ডিভিশনে নজরদারি চালিয়েছিল নর্দান রেল। একটানা ৭২ ঘণ্টা ধরে ১০০টি ট্রেনে ওই অভিযান চালানো হয়। যাতে এই সংক্রান্ত ১৮টি কেস নথিভুক্ত হয়েছিল। শৌচালয়ের সামনে খাবার সরবরাহকারী সংস্থার লোকেরা ট্রে রাখছে কি না, তা প্রাথমিকভাবে টিকিট পরীক্ষকদেরই নজরে রাখতে হবে। এমনটাই জানাচ্ছে রেল।