নতুন কোনও কর্ম পরিকল্পনায় সাফল্যের ইঙ্গিত। লটারি বা ফাটকায় প্রাপ্তি যোগ। খেলাধূলায় কৃতিত্ব। বাক্যে ও ... বিশদ
আইএনএক্স দুর্নীতি মামলায় বর্তমানে তিহার জেলে বন্দি রয়েছেন চিদম্বরম। কিন্তু তারপরও পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে একের পর এক তোপ দেগে চলেছেন তিনি। মঙ্গলবার নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ব্যাঙ্ককে দাঁড়িয়ে দেশের ক্রমবর্ধমান ও ক্রমহ্ব্রাসমান বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন মোদি। কিন্তু তাঁর সেই তালিকা অসম্পূর্ণ। দেশে বিনিয়োগের পরিমাণ, ক্রেতাদের চাহিদা ক্রমশ কমছে। শিল্পসংস্থাগুলির ঋণ নেওয়ার পরিমাণের পাশাপাশি শিল্পক্ষেত্রের বৃদ্ধিও ক্রমহ্ব্রাসমান। এই বিষয়গুলি মোদির উল্লেখ করা উচিত ছিল। ট্যুইটারে চিদম্বরম আরও জানান, দেশে বেকারত্বের হার ৮.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি, গত তিন বছরে যে পরিমাণ নতুন ঋণ দেওয়া হয়েছে, তা সমস্ত অনাদায়ী ঋণে পরিণত হয়েছে।
গত রবিবার থাইল্যান্ডের প্রভাবশালী শিল্পপতিদের সামনে বক্তব্য রাখার সময় মোদি জানান, সবথেকে করবান্ধব দেশগুলির মধ্যে অন্যতম হল ভারত। এখন ভারতে যে ‘ফেসলেস ট্যাক্স অ্যাসেসমেন্ট’ চালু হয়েছে, তাতে পক্ষপাতিত্ব ও হয়রানির কোনও উপায় নেই। এরপরেই প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ, সহজ জীবনযাত্রা, ইজ অব ডুয়িং বিজনেস-এ ভারতের সাফল্যের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। সেইসঙ্গে উচ্চ কর, লাল ফিতের ফাঁস, দুর্নীতি, ক্রোনি অর্থনীতির অবসান হয়েছে বলে জানান তিনি। মোদির কথায়, ‘এই সমস্ত কিছুই ভারতকে বিশ্বের সবথেকে আকর্ষণীয় বিনিয়োগ স্থলে পরিণত করেছে। গত পাঁচ বছরে ভারতে ২ হাজার ৮৬০ কোটি ডলার প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে। যা গত ২০ বছরে ভারতের পাওয়া বিদেশি বিনিয়োগের অর্ধেক।’ বিদেশের মাটিতে বক্তব্য রাখার সময় ভারতের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরলেও মোদি সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছেন চিদম্বরম। এনডিএ সরকার যেভাবে দেশের অর্থনীতি চালাচ্ছে, তার বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।