পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সুপ্রিম কোর্ট আরও বলেছে, সরকারের নাকের ডগায় ফসলের অবশেষ পোড়ানো চলছে। দূষণ বাড়ছে। সুপ্রিম কোর্ট দিল্লি ও ন্যাশনাল ক্যাপিটাল টেরিটরিতে যাবতীয় নির্মাণ ও উন্নয়ন প্রকল্প বন্ধ করে দিয়েছে। সর্বোচ্চ আদালত বলেছে, এই নির্দেশ অমান্য করলে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হবে। শহরের মধ্যে জঞ্জাল পোড়ানোর ঘটনা ঘটলে তৎক্ষণাৎ ৫ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করা হবে। আগামী ৬ নভেম্বর দিল্লির দূষণ সংক্রান্ত পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে। সেদিন পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যসচিবদেরও আদালতে হাজির থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গতকালের তুলনায় আজ খুব সামান্য অবস্থার উন্নতি হলেও দিল্লি এখনও গ্যাস চেম্বারই। স্কুল বন্ধ। শুধুই মাস্ক পরা মানুষের ভিড় রাস্তায়। আজও দিল্লির আবহাওয়া ‘মারাত্মক দূষিত’ ক্যাটাগরিতে। গতকাল ছিল ৩ বছরের মধ্যে সব থেকে বেশি দূষিত একটি দিন। মাস্ক, নিবুলাইজার এবং ব্রঙ্কাইটিসের ওষুধের চাহিদা আতঙ্কের জায়গায় চলে গিয়েছে। গত কয়েকদিনে দিল্লি থেকে বহু মানুষ অন্য শহরে চলে যাচ্ছেন। সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে শ্বাসকষ্টের রোগ নিয়ে শিশুদের ভিড় মাত্রাছাড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। দিল্লি সরকারের ক্লিনিকগুলিতে লম্বা লাইন। উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশের হোটেলগুলিতে ভিড়। কারণ, দিল্লিবাসী পরিবার নিয়ে দিল্লি ছেড়ে চলে যাচ্ছে। বহু অফিস তাদের বৈঠক বাতিল করে দিচ্ছে। কারণ, অন্য রাজ্য থেকে কর্মী -অফিসাররা দিল্লি আসা বাতিল করছেন। অন্তত পাঁচটি দেশের দূতাবাস নিজেদের বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যে জারি করেছে সতর্কতা। দিল্লি আসতে আপাতত বারণ করা হচ্ছে। কিন্তু দিল্লি এখনও বিষবাতাসের শহরই রয়ে গিয়েছে। ছবি: পিটিআই