রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
গোয়েলের এই প্রতিবাদ ঘিরে নাটক আরও নাটকীয় হয়ে উঠল দিল্লির আপ সরকারের পরিবহণমন্ত্রী কৈলাস গেহলটের সৌজন্যে। গাড়ি আটকে দেওয়ায় ততক্ষণে বাড়ি ফিরতে বাধ্য হয়েছেন গোয়েল। কিছুক্ষণের মধ্যেই এই বিজেপি এমপির বাড়িতে প্রবেশ গেহলটের। সঙ্গে গোলাপের তোড়া। রীতিমতো ‘গান্ধীগিরি’র চিত্রনাট্য। বাড়িতে ঢুকে বিজেপি এমপির হাতে গোলাপের সেই তোড়া তুলে দিলেন মন্ত্রী মশাই। সঙ্গে ‘বিনম্র’ অনুরোধ, দূষণ ঠেকাতে দিল্লি সরকারের জোড়-বিজোড় কর্মসূচি ভাঙবেন না দয়া করে। এই প্রচেষ্টায় সহযোগিতা করুন। দুই নেতার এই নাটকীয় কথপোকথনের প্রতিটি মুহূর্ত রেকর্ড করতে ততক্ষণে হাজির হয়ে গিয়েছে মিডিয়াগুলির ক্যামেরা। কিন্তু ‘গান্ধীগিরি’র জন্য তৈরি ছিলেন গোয়েলও। তিনিও একটি ফুলের তোড়া তুলে দিলেন মন্ত্রী গেহলটের হাতে। ‘বিনম্রচিত্তেই’ তাঁর জবাব, আমার অভিযোগ হল, পাঁচ বছর ধরে আপনাদের সরকার কিচ্ছু করেনি। পাঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকদের নাড়া জ্বালানোর ফলে যদি সমস্যার সৃষ্টি হয়, তাহলে জোড়-বিজোড় করে লাভ কী? জবাবে গেহলট বলেন, ৫০ শতাংশ গাড়ি যদি রাস্তায় না নামে, তাহলে আমরা বলতে পারি কম দূষণ হয়েছে। এবার জবাবের পালা গোয়েলের। তিনি বলেন, দূষণের বিরুদ্ধে লড়াইকে আমি স্বাগত জানাই। কিন্তু আপনি বাইক, ওলা, উবার, ট্যাক্সিকে ছাড় দিয়েছেন। শুধু চার চাকার অন্য গাড়িগুলিকে নিয়ম মানতে হচ্ছে। তাই আমার মনে হয়, জোড়-বিজোড় আসলে নাটক। যদি সত্যিই দূষণের বিরুদ্ধে লড়তে চান, তাহলে এসব আগে করা উচিত ছিল। প্রতি বছরই এটা করতে হতো। কেন শুধুমাত্র ভোটের আগে এসব করা? বিজেপি এমপির প্রশ্নের মুখে পড়ে আপ মন্ত্রীর বক্তব্য, এই লড়াই আমাদের একত্রে লড়তে হবে। আপনি যদি সহযোগিতা করতে না চান, মানুষের কাছে ভুল বার্তা যাবে। সময় নষ্ট না করে গোয়েলের পাল্টা বক্তব্য, আমার প্রতিবাদ ছিল প্রতীকি। আর আপনারা বিজ্ঞাপনের পিছনে যে বিশাল খরচ করছেন, তা মানুষের নজর ঘোরানোর জন্য। দূষণ নিয়ন্ত্রণে কোনও ব্যবস্থাই আপনারা নেননি।
যুক্তি ও পাল্টা যুক্তির পালা সাঙ্গ করে অবশেষে করমর্দন করলেন দুই নেতা। মুখে হাসি নিয়ে ভিতরে গেলেন চায়ে চুমুক দিতে। আর দুই নেতার এই তরজার মধ্যেই গোটা দেশের প্রার্থনা, ‘গেট ওয়েল সুন’ দিল্লি!