পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সোমবার লালকেল্লায় মামুলি একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক। বিভাগীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেল সেখানে গিয়ে নেতাজির আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান করেন। সরকারি কিছু অফিসার ও কর্মীর পাশাপাশি অল্প সংখ্যক আমন্ত্রিত অতিথি সেখানে হাজির ছিলেন। আমন্ত্রণ পাওয়া সত্ত্বেও অনেক অবসরপ্রাপ্ত সেনা আধিকারিক সেখানে যাননি। আইএনএ’র সঙ্গে যুক্ত থাকা নেতাজির সহযোদ্ধাদের মধ্যে যাঁরা জীবিত রয়েছেন, তাঁরাও উপস্থিত হননি গতবারের মতো। গতবার লালকেল্লার সেই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি নিশ্চিত করার ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন নেতাজির নাতি তথা বসু পরিবারের মুখপাত্র এবং রাজ্য বিজেপি’র সহ-সভাপতি চন্দ্রকুমার বসু। এবার মন্ত্রীর আমন্ত্রণ পেয়েও লালকেল্লার অনুষ্ঠানে হাজির হননি তিনি। রাজধানীর এই অনুষ্ঠানের বদলে তিনি মনিপুরের মৈরাং-এ আইএনএ সরকারের স্মারকস্থলে সঙ্ঘ পরিবারের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধান অতিথি হিসেবে।
সংস্কৃতিমন্ত্রী প্রহ্লাদ প্যাটেল অবশ্য এবার লালকেল্লায় প্রধানমন্ত্রীর হাজির না থাকার বিষয়টি তেমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয় বলে মনে করেন। তাঁর যুক্তি, গত বছর আইএনএ সরকারের ৭৫ বছর পদার্পণের সমারোহ অনুষ্ঠান ছিল বলে প্রধানমন্ত্রী নিজে লালকেল্লায় হাজির হয়েছিলেন। লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের যে প্রোটোকল বা নিয়ম রয়েছে, তাতে একমাত্র তিনিই সেই কাজ করতে পারেন। প্রত্যেক বছর ২১ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর লালকেল্লায় আসা বাধ্যতামূলক হতে পারে না।
তবে মোদি সরকারের সমর্থক বলেই পরিচিত অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্তা জেনারেল জিডি বক্সি এবং কর্নেল টিপি ত্যাগীর মতো নেতাজি গুণগ্রাহী মানুষও মনে করেন, ১৯৪৩ সালের ২১ অক্টোবর অবিভক্ত ভারতে আজাদ হিন্দ সরকার গঠনের ইতিহাসকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়ে গতবার প্রধানমন্ত্রী গোটা দেশের মানুষের মন জয় করেছিলেন। তাঁর কথাতেই স্পষ্ট হয়েছিল, ফি বছর এই দিনে লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন তিনি। কিন্তু এবার সেই পথে কেন সরকার হাঁটল না, সেটা অবাক করার মতো বিষয়। সেই সঙ্গে হতাশাব্যঞ্জকও বটে। আগাম চিঠি-চাপাটি করার পরও গতবারের মতো সরকার তথা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর কর্মসূচি গ্রহণ না করায় বেজায় হতাশ চন্দ্রকুমার সহ বসু পরিবারের বহু সদস্যও। চন্দ্রকুমারবাবুর কথায়, আমরা আশা করেছিলাম যে এবারও মোদিজি আইএনএ দিবসে লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা তুলবেন। কিন্তু সেটা না হওয়ায় আমরা আশাহত। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আমন্ত্রণেও কেন লালকেল্লায় শ্রদ্ধা জানাতে গেলেন না? এ প্রশ্নের জবাবে নেতাজির নাতি বলেন, ২১ অক্টোবর নেতাজির জন্মদিন নয়। তাই ব্যক্তি নেতাজিকে শ্রদ্ধা জানানোর থেকে এদিন বেশি জরুরি তাঁর হাতে তৈরি মুক্তি বাহিনীর সাফল্যকে স্বীকৃতি দেওয়া। এই ধরনের একটি কর্মসূচি ঐতিহাসিক স্মারকস্থল মৈরাং-এ হবে বলে আমি সেখানে থাকার জন্য আগেই সম্মতি দিয়েছিলাম।