বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
অভিজিৎবাবু আজ মোদির সঙ্গে বৈঠকের পর অন্য একটি প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার আমার কাছে যে কোনও সহায়তা চাইলে আমি মতামত দিতে রাজি আছি। বস্তুত আমাদের কাছে যে সরকারই অর্থনীতি সম্পর্কে কোনও মতামত চায় কিংবা প্রশ্ন করে, আমরা সর্বদাই প্রস্তুত সহায়তা দিতে। যদিও অভিজিৎবাবু আজ বলেছেন, কন্যাশ্রী প্রকল্পটি সম্পর্কে তাঁর বিশেষ ধারণা নেই। রাষ্ট্রসঙ্ঘের স্বীকৃতি ও পুরস্কার প্রাপ্ত এই প্রকল্প নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের আয়ুষ্মান প্রকল্পের প্রশংসা করেন তিনি।
নরেন্দ্র মোদি আজ অভিজিৎবাবুর সঙ্গে তাঁর ওই সাক্ষাৎকে হৃদ্যতাপূর্ণ করে তুলেছেন একটি রসিকতা করে। প্রাথমিক আলাপচারিতার পর প্রধানমন্ত্রী তাঁকে বলেছেন, সাবধান, আপনাকে মিডিয়া কিন্তু ফাঁদে ফেলছে জাতীয় অর্থনীতির সমালোচনা করিয়ে মোদি বিরোধী তকমা দিতে। অভিজিৎবাবু নিজেই বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী হাসতে হাসতে ওই মন্তব্য করেছেন। অভিজিৎবাবু আজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পরই সাংবাদিক সম্মেলনেও সরকার বিরোধী মন্তব্য করেননি। বস্তুত কর্মসংস্থানের সঙ্কট কিংবা কীভাবে অর্থনীতির মন্দা কাটবে, এই আপাত নিরীহ প্রশ্নগুলিও আজ তিনি এড়িয়ে গিয়েছেন। বরং ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রের সমস্যা নিয়ে যে দাওয়াই দিয়েছেন, তা মোদি সরকারের পছন্দ হওয়ারই কথা। লিভার ফাউন্ডেশন আয়োজিত ওই সাংবাদিক সম্মেলনে অভিজিৎবাবু বলেছেন, ব্যাঙ্কের সমস্যার সব থেকে বড় সঙ্কট হল ভীতি। সেন্ট্রাল ভিজিলেন্স কমিশনারের দপ্তরের তদন্তভীতি ব্যাঙ্কগুলিকে অনেক আগ্রাসী হয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করছে। তাই অভিজিৎবাবুর সুপারিশ হল, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে সরকারের মালিকানা ৫০ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনা হোক। একমাত্র তা হলেই সিভিসির তদন্তের রক্তচক্ষু থাকবে না। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নিয়ন্ত্রণই যথেষ্ট ব্যাঙ্কের দুর্নীতি ঠেকাতে।