বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
আজ ২৭ পাতার রায়ে এই মর্মে মন্তব্য করে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল সুপ্রিম কোর্ট। যদিও জামিন মঞ্জুর হলেও আপাতত তিহার জেলেই তাঁকে থাকতে হবে। অন্তত ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত তো বটেই। কারণ, দেশের অর্থমন্ত্রী থাকার সময় এক বৈদ্যুতিন মিডিয়া হাউসকে বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা করে দেওয়ার অভিযোগে পি চিদম্বরমের বিরুদ্ধে আলাদা করে মামলা করেছে সিবিআই এবং ইডি। উভয়েই তাঁকে পৃথকভাবে গ্রেপ্তার করেছে।
সুপ্রিম কোর্ট আজ কেবলমাত্র সিবিআইয়ের মামলায় পি চিদম্বরমকে জামিন দিয়েছে। ইডি মামলায় আগামী ২৪ তারিখ পর্যন্ত হেফাজতে রয়েছেন তিনি। ওইদিন ফের নয়াদিল্লির বিশেষ আদালত রাউস এভিনিউতে পি চিদম্বরমকে হাজির করা হবে। গত ২১ আগস্ট প্রাক্তন অর্থ এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরমকে নয়াদিল্লিতে নজিরবিহীনভাবে তাঁর বাড়ির পাঁচিল টপকে গ্রেপ্তার করেছিল সিবিআই। প্রথমে পুলিসি হেফাজতে তাঁকে সিবিআইয়ের সদর দপ্তর লোধি রোডের অফিসে এবং পরে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে তিহার জেলে রাখা হয়েছে।
জামিনের আবেদন করলেও গত ৩০ সেপ্টেম্বর দিল্লি হাইকোর্ট তা খারিজ করেছে। সেটি চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়েছিল। তারই শুনানি শেষে রায় রিজার্ভ রেখেছিল বিচারপতি আর ভানুমতী, বিচারপতি এ এস বোপান্না এবং বিচারপতি হৃশিকেশ রায়ের বেঞ্চ। আজ রায়দান হল। সেখানে চিদম্বরম সম্পর্কে হাইকোর্টের অনুমান বা ধারণার বশে জামিন না দেওয়ার নির্দেশকে সমালোচনা করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
সিবিআই মামলায় আজ প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীকে এক লক্ষ টাকার বন্ডে জামিন দিয়ে বিচারপতির বেঞ্চ বলেছে, পি চিদম্বরমকে তাঁর পাসপোর্ট আদালতে জমা রাখতে হবে। আদালতের অনুমতি ছাড়া তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না। এবং তদন্তের প্রয়োজনে যখনই ডাকা হবে, হাজির হতে হবে। আইএনএক্সের সিবিআই মামলায় তাঁকে জামিন দেওয়া হলেও অন্য কোনও মামলার তা বলবৎ হবে না বলেই স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তাই আপাতত ক্ষণিক রেহাই মিললেও একই অভিযোগে ইডি গ্রেপ্তার করে রাখায় পি চিদম্বরমকে আপাতত তিহারেই কাটাতে হবে।