বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
দিনদুয়েক আগেই পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকায় থাকা জঙ্গি লঞ্চপ্যাডগুলি গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ভারত। স্পষ্ট বার্তা দিয়ে জানানো হয়েছিল, প্রতিবেশী রাষ্ট্র জঙ্গিদের মদত দেওয়ার চেষ্টা করলে তা কোনওমতেই রেয়াত করবে না ভারত। তারপরেই প্রয়োজনে অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। জানা গিয়েছে, ভারতের এই রণংদেহী মেজাজের মধ্যেই নয়াদিল্লির সঙ্গে ইসলামাবাদের তরফে যোগাযোগ করা হয়। বলা হয়, কূটনীতিবিদ এবং সাংবাদিকরা নিয়ন্ত্রণ রেখা পরিদর্শনে আসছেন। কোনওভাবেই যাতে সেই সময়ে সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘনের ঘটনা না ঘটে। কিন্তু তারপরও পাকিস্তানের তরফেই ফের নিয়ন্ত্রণ রেখায় বিনা প্ররোচনায় ফের সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করা হয়। বিষয়টি নিয়ে তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করেছে কূটনৈতিক মহল। এদিকে, পাক কূটনীতিবিদ এবং সাংবাদিকদের নিয়ন্ত্রণ রেখা পরিদর্শনের দিনেই রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মুজফ্ফরাবাদ। পাকিস্তানের হাত থেকে স্বাধীনতার দাবিতে সোচ্চার হন সেখানকার বাসিন্দারা। স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষেও জড়িয়ে পড়েন তাঁরা।
অন্যদিকে, সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর ৭৯ দিন কেটে গেলেও এখনও স্বাভাবিক হল না জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি। মঙ্গলবার সকালের দিকে বেশ কিছু দোকানপাট খুললেও বেলা ১১টা বাজতে না বাজতেই সেগুলি বন্ধ হয়ে যায়। সরকারি আধিকারিকরা জানিয়েছেন, উপত্যকার অধিকাংশ এলাকাতেই রাস্তার বিশেষ যানবাহনের দেখা মেলেনি। তবে লাল চক ও জাহাঙ্গির চকের মতো বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্রের রাস্তাঘাট ছিল জমজমাট। বেসরকারি গাড়ির ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় পুলিসকেও।