কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
একইভাবে হরিয়ানা বিধানসভা ভোটের এক্সিট পোলেও দেখা যাচ্ছে, কংগ্রেস অথবা ইন্ডিয়ান লোক দল কেউই সামান্য আঁচড় পর্যন্ত কাটতে পারেনি বিজেপির ভোটব্যাঙ্কে। এখানেও কৃষক সঙ্কট কিংবা জাঠ সংরক্ষণের ক্ষোভ বিক্ষোভকে ছাপিয়ে গোটা রাজ্য ঢেলে ভোট দিয়েছে মোদি ম্যাজিককেই। এক্সিট পোলের ফলাফল যদি আগামী বৃহস্পতিবার প্রকৃত ফলাফলের সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ হয়, তা হলে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং দেশের বিভিন্ন বিজেপি বিরোধী দলের কাছে চরম উদ্বেগের বার্তা হবে। কারণ, ডুবতে বসা অর্থনীতির থেকেও বিজেপির উচ্চকিত দেশপ্রেমের রাজনীতি যে ভোটের ময়দানে অনেক এগিয়ে থাকছে সেটাই প্রমাণিত। আজকের এক্সিট পোলের ফলাফলই যদি প্রতিফলিত হয় বৃহস্পতিবারের প্রকৃত গণনায়, তা হলে আগামী বছরের ঝাড়খণ্ড, বিহার, দিল্লি, অরুণাচল প্রদেশের বিধানসভা ভোটেও মনোবলের দিক থেকে বিজেপি অনেক এগিয়ে যাবে। মোদির সব থেকে বড় কৃতিত্ব হল, স্থানীয় ইস্যু নয়, প্রতিটি রাজ্য নির্বাচন আবর্তিত হচ্ছে জাতীয় ইস্যুতে। হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রের ভোটেও দেখা গিয়েছে প্রচারে অমিত শাহ এবং মোদি লাগাতার ৩৭০ নং ধারার বিলোপসাধনকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। ঠিক ভোটের আগের দিন পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতীয় সেনার প্রিসিশন স্ট্রাইকের হামলা। বিরোধীরা দাঁড়াতেই পারেনি বলে মনে করছে এক্সিট পোল। এই বিশ্লেষণের আড়ালে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ যে বার্তাটি নরেন্দ্র মোদি রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হতে চলেছেন, সেটি হল, মুখ্যমন্ত্রীর মুখ সামনে না থাকলেও স্রেফ সংগঠন আর মোদি ম্যাজিকেই রাজ্য দখল করা যায় এবং অচেনা মুখকে পাঁচ বছরের মধ্যে জনপ্রিয় করে তোলা যায়। ২০১৪ সালে মহারাষ্ট্রে সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিতভাবে অচেনা মুখ দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে নাগপুর থেকে তুলে নিয়ে এসে মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসিয়েছিলেন মোদি। পাঁচ বছর পর সেই ফড়নবিশকে সামনে রেখেই ভোট জয়ের পথে তিনি। একই ফর্মুলা প্রযোজ্য হরিয়ানাতেও। কেউ চিনত না মনোহর লাল খট্টরকে। পাঁচ বছর পর যদি এক্সিট পোল সত্যি হয়, তা হলে সেই খাট্টার ফের দ্বিতীয় বার মু্খ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন হরিয়ানায়।