পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এদিন, উত্তরপ্রদেশের ১১টি আসনে উপনির্বাচন হয়েছে। সেই সঙ্গে গুজরাতের ৬টি, কেরল ও বিহারের ৫টি করে, অসম ও পাঞ্জাবে ৪টি করে, সিকিমে ৩টি, হিমাচলপ্রদেশ, তামিলনাড়ু ও রাজস্থানের ২টি এবং ওড়িশা, ছত্তিশগড়, অরুণাচলপ্রদেশ, মেঘালয়, মধ্যপ্রদেশ, পুদুচেরি ও তেলেঙ্গানাতে ১টি করে আসনেও ভোট হয়েছে।
সোমবার, পূর্বভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে ১৫টি বিধানসভা কেন্দ্র ও একটি লোকসভা আসনে ভোট হয়েছে। বিহারের ৫টি বিধানসভা আসনে ভোট পড়েছে ৪৯.৫০ শতাংশ। পাশাপাশি, একই সময়ে রাজ্যের সমস্তিপুর লোকসভা আসনের উপনির্বাচনেও প্রায় ৫০ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে। অরুণাচল প্রদেশে খোনসা পশ্চিম বিধানসভা আসনে ৯০ শতাংশ ভোটার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। অন্যদিকে, মেঘালয়ে ভোটের হার মোটামুটি স্বাভাবিক ছিল। শেলা আসনে ভোট পড়েছে ৮৪.৫৬ শতাংশ। এদিন, সিকিমের তিনটি আসনে উপনির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবেই মিটেছে বলে খবর। আসনগুলিতে গড়ে ভোট পড়েছে ৭০ শতাংশ। বিজেপি শাসিত অসমের রঙ্গপাড়া, সোনারি, রাতাবরী ও জানাই আসনে ২০ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করলেন ৬ লক্ষ ৭৮ হাজারের বেশি ভোটার। ভোটের হার ৭৫.৬৯ শতাংশ। এদিনের ভোটে রাজনৈতিকভাবে বিশেষ উল্লেখযোগ্য ছিল ওড়িশার বিজেপুর আসনটি। কয়েকমাস আগেই বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক দুটি আসন থেকে জয়লাভ করেন। একটি বিজেপুর, অন্যটি নিজের জেলা গঞ্জামের হিঞ্জিলি। এরপর, তিনি বিজেপুর কেন্দ্রের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলে আসনটি ফাঁকা হয়ে যায়। এই কেন্দ্রে জয় পেতে মরিয়া শাসক দল বিজেডি। এটি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কার্যত সম্মানের লড়াই। তাই উপনির্বাচন হলেও অনেকেরই নজর রয়েছে, এই আসনের ফলাফলের দিকে। ভোট পড়েছে ৭২ শতাংশ।
উত্তরপ্রদেশের ১১টি আসনে গড়ে ভোট পড়েছে ৪৭.০৫ শতাংশ। সকালবেলায় দুই-একটি বুথ থেকে ইভিএম গণ্ডগোলের খবর আসে। অভিযোগ আসার সঙ্গে সঙ্গে ইভিএমগুলি বদলে ফেলা হয় বলে নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে। ১১টি আসনের মধ্যে ৮টি এর আগে বিজেপির দখলে ছিল। আরও একটি আসনে গতবার জয়ী হয়েছিল শরিক দল আপনা দল (সোনেলাল)। পাশাপাশি, রামপুর ও জালালপুর আসন দুটি ছিল যথাক্রমে সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজবাদী পার্টির দখলে। লোকসভা নির্বাচনে বেশ কয়েকজন বিধায়ককে প্রার্থী করা হয়। তাঁরা জিতে যাওয়ায় আসনগুলি খালি হয়ে যায়। সেই সঙ্গে বেশ কয়েকজন বিধায়ক পদত্যাগ করেন। সেই কারণেই কমিশনকে উত্তরপ্রদেশে একসঙ্গে এতগুলি আসনে উপনির্বাচন করতে হল।
সোমবার প্রবল বৃষ্টির জেরে কেরলে বিধানসভা উপনির্বাচন কিছুটা বিঘ্নিত হয়। স্বাভাবিকভাবেই সকালের দিকে ভোটের হারও কিছুটা কম ছিল। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। বিকেল ৫টা পর্যন্ত এর্নাকুলামে ভোটের হার ছিল ৫৩.২৭ শতাংশ। কোন্নি, মঞ্জেশ্বরম, ভত্তিওরকাবু ও আরোরে গড়ে ৬০ থেকে ৭৫ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে। এদিন, ছাপ্পাভোট দেওয়ার চেষ্টা করার অভিযোগে এক মহিলাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে মঞ্জেশ্বরমে। অন্যদিকে, তামিলনাড়ুতে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করার জন্য কংগ্রেস সাংসদ এইচ বসন্তকুমারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
হিমাচলপ্রদেশের দু’টি আসন – পছড় ও ধর্মশালায় সকাল ৮টায় ভোট শুরু হয়। ৭০ শতাংশ ভোটার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। অপরদিকে, পাঞ্জাবেরও চারটি আসনে এদিন ভোট ছিল। আসনগুলি হল – ফাগওয়ারা, জালালাবাদ, ডাখা, মুকেরিয়ান। গড়ে ৬০ শতাংশ ভোট পড়েছে এই কেন্দ্রগুলির উপনির্বাচনে।
তেলেঙ্গানার হুজুরনগরে ভোট পড়েছে ৮৪ শতাংশ, মধ্যপ্রদেশের জাবুয়ায় ৬২ শতাংশ, ছত্তিশগড়ের চিত্রকোটে ৭৪ শতাংশ, গুজরাতের ছ’টি কেন্দ্রে ৫১ শতাংশ, পুদুচেরির কামরাজ নগর আসনে ৭০ শতাংশ ভোট পড়েছে।