পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পিএমসি দুর্নীতিকাণ্ডের তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই এইচডিআইএলের দুই প্রেমোটার রাকেশ ও তাঁর পুত্র সরং ওয়াধাওয়ানতে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এবার তাদের ঋণ মেটাতে ‘নাইট ফ্রাঙ্ক’ নমে এক সংস্থাকে নিয়োগ করেছে এইচডিআইএল। ওই বহুজাতিক সংস্থা এইচডিআইএলের ৪০টি সম্পত্তির মূল্যায়ন নির্ধারণ করবে। এবং ১০ দিনের মধ্যে সেই রিপোর্ট এইচডিআইএলের কাছে জমা দেবে নাইট ফ্রাঙ্ক। সূত্রের খবর, বর্তমানে পিএমসির কাছে এইচডিআইএলের বকেয়া মূল ঋণের পরিমাণ ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা। কিন্তু, সুদ যোগ যোগ করলে তা ৪ হাজার ৫০০ কোটি ছাড়াবে। জানা গিয়েছে, এইচডিআইএলের এই ৪০টি সম্পত্তি ভাসাই, থানে, নবি মুম্বই, কেরল সহ বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এবং বর্তমান বাজার দরে তা বিক্রি করে অনাদায়ী ঋণের টাকা উঠে আসবে।
অন্যদিকে, পিএমসি ব্যাঙ্কের আর্থিক লেনদেনের উপর আরবিআইয়ের নিষেধাজ্ঞার জেরে গ্রাহকদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। কারণ, বহু গ্রাহক তাঁদের ছেলে-মেয়েদের স্কুল-কলেজের ফি, পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসার খরচ মেটাতে পারছেন না। অনেকে আবার সারা জীবনের সঞ্চয় হারানোর আশঙ্কায় ভুগছেন। এম এ চৌধুরী নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, পিএমসি ব্যাঙ্কের চেক বাউন্স করার জন্য কর্মীদের বেতন, কর জমা, বিদ্যুতের বিল মেটাতে পারছি না। প্রসঙ্গত, ১৯৮৪ সালের সেন্ট্রাল মুম্বইয়ের সিয়নে প্রতিষ্ঠা হওয়া পিএমসির বর্তমানে ছ’টি রাজ্যে শাখা রয়েছে।
পিএমসি ক্যাপশন: মুম্বইয়ে নিজের বাড়িতে জনৈক শশীকুমার নেওটিয়া (৭৩)। সম্প্রতি তাঁর হার্টে অস্ত্রোপচার হয়েছে। পাশাপাশি, নিজের একটি কিডনিও দান করেছেন মেয়েকে। সারা জীবনের সঞ্চয় পিএমসি ব্যাঙ্কে রয়েছে নেওটিয়ার। সংসার ও চিকিৎসার জন্য ব্যাঙ্কের সুদই একমাত্র ভরসা তাঁর। পিএমসি ব্যাঙ্ক দুর্নীতির জেরে অথৈ জলে পড়েছেন নেওটিয়া।