পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এদিন এন চন্দ্রশেখরন এবং রূপা পুরুষোত্তমের লেখা ‘ব্রিজিটাল নেশন’ নামক বইয়ের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। চাহিদা ও জোগানের মধ্যে ফারাক মেটাতে প্রযুক্তি কীভাবে সাহায্য করে, সে কথাই এই বইয়ে তুলে ধরেছেন তাঁরা। সেই বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে যুগান্তকারী প্রযুক্তি আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের বিপদ নিয়ে বিতর্ক নয়, বিতর্ক হওয়া উচিত রোবট কখন মানুষের থেকে স্মার্ট হবে। আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং মানুষের উদ্দেশ্যের মধ্যে কীভাবে সেতুবন্ধন হবে, তা নিয়ে বিতর্ক হওয়া উচিত।’
সমাজের একটা অংশ প্রযুক্তিকে গরিব বিরোধী হিসেবে তুলে ধরে প্রচার চালাচ্ছে বলেও দাবি করেছেন মোদি। অথচ, ভালো উদ্দেশে কাজে লাগানো হলে তা মানব সমাজকে উপকৃত করবে। প্রযুক্তি কীভাবে মানুষকে সাহায্য করে, তা বোঝাতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রযুক্তি বিভাজন নয়, আমাদের ঐক্যবদ্ধ করে। এটা কোনও হুমকি বা হুঁশিয়ারি নয়, মেধার শক্তি। আকাঙ্ক্ষা ও প্রাপ্তি, চাহিদা ও জোগানের মধ্যে সেতু তৈরি করেছে প্রযুক্তি। সবকা সাথ, সবকা বিকাশের স্বপ্ন পূরণে বড় মাধ্যম হল প্রযুক্তি।’
এরপরেই উন্নয়নমূলক প্রকল্পের বাস্তবায়নে তাঁর সরকার কীভাবে প্রযুক্তিকে ব্যবহার করেছে, তাও এদিন উপস্থিত দর্শকদের কাছে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, উজ্জ্বলা যোজনার সুবিধাভোগীদের গ্যাস সংযোগ দিতে এআই, ডিজিটাল ম্যাপ, ডেটা ইন্টেলিজেন্স এবং রিয়েল-টাইম মনিটরিংয়ের মতো আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। মোদির কথায়, ‘ডেটা ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে আমরা প্রথমে গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহকারী ১৭ হাজার কেন্দ্রকে চিহ্নিত করি। এবং খুব কম সময়ের মধ্যে আরও ১০ হাজার কেন্দ্র তৈরি করি। এ বিষয়ে আমরা মহাকাশ প্রযুক্তিরও সাহায্য নিয়েছিলাম।’
এখানেই শেষ নয়, ডিজিটাল ইন্ডিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ‘ই-মার্কেট প্লেস’ চালু করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন মোদি। এদিনের বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আমেরিকা, ব্রিটেন ও চীনের রাষ্ট্রদূত, বিভিন্ন মন্ত্রকের সচিব, শিল্পপতি রতন টাটা, বণিকসভা সিআইআই, ফিকি ও ন্যাশকমের একাধিক প্রতিনিধি প্রমুখ।