কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এমনিতে আগামীকাল, সোমবার মহারাষ্ট্রে ৩,২৩৭ জন এবং হরিয়ানায় ১,১৬৯ জন প্রার্থীর ভাগ্যপরীক্ষা হবে। পাশাপাশি ১৭টি রাজ্যের ৫১টি বিধানসভা আসন এবং বিহারের সমস্তিপুর, মহারাষ্ট্রের সাতারায় লোকসভার উপনির্বাচন। নিরাপত্তার ব্যবস্থাও বেশ কঠোর। মহারাষ্ট্রে যেখানে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় বাহিনী মিলে প্রায় ৩ লক্ষ নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হচ্ছে, হরিয়ানায় সেখানে রয়েছে ৭৫ হাজার। এবং এই দুই রাজ্যেই বিজেপি ও তার জোট শরিকদের এগিয়ে থাকার কারণ হল দুর্বল বিরোধী। রাহুল গান্ধী কংগ্রেস সভাপতি পদ ছেড়ে যাওয়ার পর সোনিয়া গান্ধী অন্তর্বর্তী সভাপতি হয়েছেন ঠিকই, কিন্তু তাতে দলের হাল ফেরেনি। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবং তারকা প্রচারকদের অনুপস্থিতি যে সমস্যা আরও বাড়িয়েছে। সোনিয়া গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কাকে প্রচারেই পাওয়া যায়নি। একইসঙ্গে রয়েছে ভোটের ঠিক আগে দুর্নীতির অভিযোগে এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পাওয়ারের জাঁতাকলে পড়ে যাওয়া। রাজনৈতিক মহল প্রশ্ন তুলছে, তাহলে কি পরাজয় নিশ্চিত জেনেই প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে হারের দায়টাও এড়িয়ে গেল গান্ধী পরিবার? আগামী বছর হরিয়ানায় দু’টি এবং মহারাষ্ট্রে সাতটি রাজ্যসভা আসনের নির্বাচন। একইভাবে ২০২২ সালে যথাক্রমে দু’টি এবং ছ’টি রাজ্যসভার আসনে ভোট। দুর্বিষহ ফল হলে কিন্তু কংগ্রেসের জন্য সেখানেও আশার আলো দেখা যাবে না। মহারাষ্ট্রে ২৮৮টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস ১৪৭টিতে প্রার্থী দিয়েছে। দলীয় সূত্রে খবর, এর মধ্যে ৪০টি জিতলেই যথেষ্ট হবে বলে মনে করছে হাইকমান্ড। মহারাষ্ট্রে এখন কংগ্রেসের ২৭ জন বিধায়ক রয়েছেন। বিজেপির ১৪২ জন। অন্যদিকে, ৯০ আসনবিশিষ্ট হরিয়ানায় এখন কংগ্রেসের মাত্র ১৭ জন বিধায়ক। বিজেপির ৪৮। হরিয়ানায় ভূপিন্দর সিং হুডার মতো প্রাক্তন দাপুটে মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি এআইসিসির মুখ্য মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালার ভাগ্য পরীক্ষা হবে কাল। ফলপ্রকাশ ২৪ অক্টোবর।
বিজেপির কাছে হরিয়ানার মতো মসৃণ পথ অবশ্য মহারাষ্ট্রে নেই। আগে ঠিক ছিল গতবারের মতো এবারও আলাদা লড়বে বিজেপি, শিবসেনা। কিন্তু শেষ মুহূর্তে অমিত শাহ-উদ্ধব থ্যাকারে আসন সমঝোতা করেছেন। বিজেপি লড়ছে ১৬৪টিতে। শিবসেনা ১২৬। এখানে সামাল দেওয়া গেলেও সমস্যা অন্যত্র। ৩৭টি আসনে বিজেপি এবং শিবসেনার টিকিট না পাওয়া বিক্ষুব্ধরা দাঁড়িয়েছেন। তার উপর শেষ লগ্নে জোট শরিকের খোঁচা। তাহলে কি কোনওভাবে ফল উল্টে গেলে কংগ্রেস-এনসিপি জোটের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে পারে শিবসেনা? সেই পথই কি খোলা রাখছে এদিনের কটাক্ষ? প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।