বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বর্তমানে হেঁটে-চলে বেড়ানোর ক্ষমতা হারিয়েছে চম্পা। ক্রমশ হাত-পা অসাড় হয়ে আসছে তার। বিছানা থেকে উঠতে পারে না। রাজ্যের জয়পুর এবং হায়দরাবাদে নিয়ে গিয়ে চম্পার চিকিৎসা করানো হয়েছে। কিন্তু, ডাক্তারেরা তার রোগ ধরতে পারেননি। উল্টে, মেয়ের চিকিৎসা করাতে সর্বহারা অবস্থা চম্পা বাবা-মায়ের। এই পরিস্থিতে শারীরিক যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে এবং পরিবারের দুর্দশা দেখতে না পেরে মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েককে চিঠি লিখেছে চম্পা। সেখানে তার চিকিৎসার খরচ বইতে সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছে সে। সরকার সাড়া না দিলে তাকে যেন ইচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দেওয়া হয় বলেও চিঠিতে লিখেছে অসহায় চম্পা।
এ প্রসঙ্গে চম্পার ভাই নরসিং কলাকুরা বলেছে, ‘প্রথম দিকে চিকিৎসায় সাড়া দিলেও বর্তমানে দিদির অবস্থা ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সরকার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে আমরা উপকৃত হব।’ ইতিমধ্যে টেলিভিশন চ্যানেল ওটিভি’র সৌজন্যে চম্পার মেডিক্যাল রিপোর্ট ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। খবর জানাজানি হতেই বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে মালকানগিরি জেলা প্রশাসন। পাশাপাশি, তার স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য চম্পার বাড়িতে একজন ডাক্তারকেও পাঠিয়ে দিয়েছে তারা। সূত্রের খবর, চম্পাকে জেলার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার বন্দোবস্ত করছে সরকার।