রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
আগামী ২১ অক্টোবর ভোটগ্রহণ হবে হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রে। শনিবার ছিল ভোট প্রচারের শেষ দিন। সেই উপলক্ষে এদিন হরিয়ানার রেওয়ারি ও এলেনাবাদে জনসভা করেন প্রধানমন্ত্রী। দু’টি র্যা লিতেই ৩৭০ ধারা রদ নিয়ে কংগ্রেসকে নিশানা করেন তিনি। আক্রমণের সুর চড়িয়ে রেওয়ারির মঞ্চ থেকে মোদি বলেন, ‘১৯৬৪ সালে সংসদে বিতর্ক চলাকালীন দেশের এক বিশিষ্ট নেতা হতাশ হয়েছিলেন। কারণ, কংগ্রেস তখন দু’ভাবে ভাগ হয়ে গিয়েছিল। সেখানে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করার দাবি উঠেছিল এবং তা নিয়ে সংসদে বিতর্কও হয়েছিল।’
এখানেই থেমে না থেকে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সেই সময় কংগ্রেস নেতারা হাতজোড় করে বলেছিলেন, এক বছরের মধ্যে ৩৭০ ধারা নিয়ে আপনাদের দাবি মেনে নেওয়া হবে। কিন্তু, বিষয়টি আবার ঠাণ্ডা ঘরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।’ এরপরেই উপস্থিত জনতার উদ্দেশে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন মোদি। বলেন, ‘কী এমন বাধ্যবাধকতা ছিল, যে এমন করা হয়েছিল? সেদিন থেকে কী খেলাই না খেলা হয়েছে!’ এছাড়া, সেনা-জওয়ানদের ‘এক পদ এক পেনশন’ এবং শহিদ জওয়ানদের স্মৃতিতে তৈরি ওয়ার মেমোরিয়াল নিয়েও কংগ্রেসকে তোপ দেগেছেন প্রধানমন্ত্রী।
শুধু রেওয়ারিতে নয়, এলেনাবাদের সভাতেও ৩৭০ ধারা এবং কর্তারপুর করিডর নিয়ে কংগ্রেসকে ঝাঁঝালো আক্রমণ শানিয়েছেন মোদি। ভুল নীতি ও কৌশলের জন্য ‘দেশকে ধ্বংস’ করে দিয়েছে কংগ্রেস বলেও তোপ দেগেছেন তিনি। মোদির কথায়, ‘কংগ্রেসের ভ্রান্ত নীতি ও কৌশল দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এখন সময় বদলেছে। তাই দেশও বদলেছে।’ এরপরেই ৩৭০ ধারা কেন রদ করা হয়েছে, তার পক্ষে যুক্তি দেন তিনি। রাজ্যবাসীর উদ্দেশে একের পর এক প্রশ্ন ছুঁড়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দিল্লিতে ক্ষমতায় থাকতে কাশ্মীরকে কি ধ্বংস হতে দেওয়া উচিত? কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ কাশ্মীর না প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি? এক্ষেত্রে প্রতিটি ভারতবাসীর জবাব হল, দেশে প্রধানমন্ত্রী আসবে, যাবে, কিন্তু কাশ্মীরকে ভারতের সঙ্গে থেকে সমৃদ্ধ হতে হবে।’
কর্তারপুর করিডর নিয়েও কংগ্রেসকে এদিন একহাত নিয়েছেন মোদি। পুণ্যার্থীরা যাতে তাঁদের গুরুর থেকে আলাদা হয়ে না যায়, তার চেষ্টা কংগ্রেস করেনি বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘কর্তারপুর গুরুদ্বারকে ভারতের ভূখণ্ডে রাখতে না পারার ভুল দেশভাগের সময় হয়েছে। কংগ্রেস ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি ভারতীয়দের এই সংস্কৃতি, ঐতিহ্যকে কখনও সম্মান দেয়নি।’ এছাড়া, কাশ্মীর থেকে পণ্ডিতদের উচ্ছেদ এবং সুফি সংস্কৃতির মূল উৎখাত করা নিয়েও এদিন কংগ্রেসকে দায়ী করেছেন মোদি।
তবে শুধু মোদি একা নন, ৩৭০ ধারা নিয়ে এদিন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে নিশানা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন মহারাষ্ট্রের আদিবাসি অধ্যুষিত নন্দুর্বার জেলার নবাপুরে জনসভা করেন তিনি। কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা রদ নিয়ে মোদি সরকারের সমালোচনা করেছে কংগ্রেস সহ দেশের বিরোধীরা। এদিন তা নিয়ে পাল্টা আক্রমণ করেন মোদি সরকারের এই ‘নম্বর টু’ নেতা। রাহুলকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে অমিত শাহ বলেন, ‘উনি প্রতিশ্রুতি দিন, মহারাষ্ট্রবাসী যদি তাদের ক্ষমতায় ফেরায়, তাহলে কংগ্রেস ৩৭০ ধারা পুনরুদ্ধার করবে। এই বিশেষ ধারার জন্যই জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদীদের আখড়ায় পরিণত করেছিল পাকিস্তান। যার জেরে প্রাণ হারিয়েছেন ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ। কোনও প্রধানমন্ত্রী সেই ধারা প্রত্যাহারের সাহস দেখাননি। একমাত্র ৫৬ ইঞ্চির ছাতির মোদি তা করে দেখিয়েছেন।’ অন্যদিকে, বৃষ্টির জেরে নাসিকের ওজার বিমানবন্দরে এদিন জরুরি অবতরণ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কপ্টার।