কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
রিপোর্ট অনুযায়ী, যে পরিমাণ কচ্ছপ উদ্ধার হয়েছে বা ধরা পড়েছে, সেই পরিসংখ্যান থেকেই দেখা যাচ্ছে প্রতি সপ্তাহে দেশে ২০০টি কচ্ছপ পাচার করা হয়। অর্থাৎ বছরে সেই পরিমাণ ছিল প্রায় ১১ হাজার কচ্ছপ। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, এই বিপুল পরিমাণ কচ্ছপের মধ্যে ৬২ শতাংশই উদ্ধার হয়েছে উত্তরপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গে। যার মধ্যে ২৭ শতাংশ পশ্চিমবঙ্গে এবং ৩৫ শতাংশ উত্তরপ্রদেশে হয়েছে। এছাড়াও এই তালিকায় রয়েছে তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরল, বিহার, ঝাড়খন্ড, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা এবং কর্ণাটকের মতো রাজ্য। সংস্থার এক কর্তা বলেন, দেশের মোট ১৯টি রাজ্যে সারাবছর ধরে বিভিন্ন সময় কচ্ছপ পাচার হওয়ার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। মূলত খাদ্য হিসেবে কচ্ছপের সুস্বাদু মাংস এবং শো-পিস হিসেবে দেহাংশ (খোল) খুবই জনপ্রিয়। এছাড়াও কয়েকটি ভারতীয় কচ্ছপের প্রজাতি বিদেশে পোষ্য হিসেবে খুবই জনপ্রিয়। আবার কয়েকটি প্রজাতির কচ্ছপের দেহের হাড় এবং পায়ের নখগুলি বিভিন্ন ওষুধ তৈরি করার জন্যই বিদেশেও পাচার হয়।
ট্রাফিকের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ভারতে ২৮ প্রজাতির মিষ্টি জলের কচ্ছপ এবং পাঁচ প্রজাতির সামুদ্রিক কচ্ছপ পাওয়া যায়। যার মধ্যে পাচারকারীদের নজরে রয়েছে ১৪ প্রজাতির মিষ্টি জলের কচ্ছপ। এর মধ্যে আবার সবথেকে জনপ্রিয় ইন্ডিয়ান স্টার প্রজাতির কচ্ছপ। বিদেশে পোষ্য হিসেবে এই কচ্ছপের চাহিদা তুঙ্গে। দেশে সবমিলিয়ে পাচার হওয়া কচ্ছপের মধ্যে ৪৯ শতাংশই এই প্রজাতির। এছাড়াও সফ্ট শেল, ইন্ডিয়ার ফ্ল্যাপ শেল এবং ব্ল্যাক স্পটেড বা স্পটেড পন্ড প্রজাতির কচ্ছপের চাহিদাও তুঙ্গে রয়েছে।
ট্রাফিকের ভারতে নিযুক্ত অন্যতম সদস্য সাকেত বাডোলা বলেন, ভারতে কচ্ছপ শিকার-পাচার এবং সংগ্রহকারীদের একটা বড় নেটওয়ার্ক রয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তা ছড়িয়ে রয়েছে। শুধুমাত্র বনদপ্তরের নিজস্ব ক্ষমতা দিয়ে সেই নেটওয়ার্ককে ভাঙা সম্ভব নয়। তাই এবিষয়ে বিশেষজ্ঞ বাহিনী প্রয়োজন। অনেক রাজ্যে এবিষয়ে কাজ শুরু হয়েছে। তাই আগামীদিনে পরিস্থিতি ভালো হবে বলেই তিনি আশাবাদী। তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন জায়গায় কচ্ছপ উদ্ধার হওয়ার পর বনদপ্তরের আধিকারিকরা সেগুলি যে বিপুল পরিমাণ টাকায় পাচার বা বিক্রি করা হয়, সেই পরিসংখ্যান সকলের সামনে তুলে ধরা হয়। এতে বিপুল টাকার প্রলোভনে অনেকেই এই বেআইনি কারবারে ঢুকছে। এবিষয়ে বনদপ্তরগুলির আরও সতর্ক থাকা প্রয়োজন বলে তিনি দাবি করেন।