পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
গত সপ্তাহে রাষ্ট্রসঙ্ঘে বক্তব্য রাখার সময় পাকিস্তানের প্রতিনিধি মালিহা লোধি ফের কাশ্মীর ইস্যু উত্থাপন করেন। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ভারতের ৩৭০ ধারা খারিজ করার প্রসঙ্গ নিয়ে সরব হন তিনি। রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের স্থায়ী মিশনের মন্ত্রী দীপক মিশ্র অবশ্য পাকিস্তানের নাম না করেই লোধির বক্তব্যের জবাব দেন। তিনি জানান, ভিত্তিহীন কথার মধ্যে এক বিশেষ লক্ষ্যপূরণের চেষ্টা চলছে। তার জন্য বিভ্রান্তিকর প্রচারও চালানো হচ্ছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের কমিটির সামনে বক্তব্য রাখার সময় দীপক মিশ্র জানান, রাষ্ট্রসঙ্ঘ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সময় থেকে ৮০টিরও বেশি ঔপনিবেশিক অঞ্চল স্বাধীনতা পেয়েছে এবং রাষ্ট্রসঙ্ঘের পরিবারে যোগদান করেছে। নথি অনুযায়ী, রাষ্ট্রসঙ্ঘের সদস্যপদের লাগাতার চেষ্টার ফলে বর্তমানে মাত্র ২০ লক্ষের কিছু কম মানুষ স্বাধীন অঞ্চলে বাস করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। এখন সারা বিশ্ব পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। এই সময়ে দাঁড়িয়ে ভারত বিশ্বাস করে, যে সমস্ত মানুষ স্বাধীন অঞ্চলে বাস করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত রয়েছেন, তা পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে পূরণ করা সম্ভব।
দীপক মিশ্র আরও জানিয়েছেন, জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ভারত ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করার পর থেকেই আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে পাকিস্তান বার বার ব্যর্থভাবে কাশ্মীর ইস্যু তোলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গত ৫ আগস্ট ভারতের সিদ্ধান্তের পরেই নয়াদিল্লির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে ইসলামাবাদ। ভারতীয় হাই কমিশনারকে বহিষ্কারও করা হয়। যদিও প্রথম থেকেই গোটা বিষয়টিকে ‘অভ্যন্তরীন’ বলে জানায় ভারত। পাশাপাশি, প্রায় সমস্ত দেশই ভারতের পাশে দাঁড়ানোয় কার্যত একঘরে হয়ে পড়ে পাকিস্তান।