কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পুলিস সূত্রে খবর, খুনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বিজনোনের বাসিন্দা মহম্মদ মুফতি নইম কাজমি এবং ইমাম মৌলানা আনোয়ারুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবারই কমলেশের স্ত্রী কিরণের অভিযোগের ভিত্তিতে এই দু’জনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়। কিরণের অভিযোগ, এই দুই অভিযুক্ত কমলেশকে খুনের ষড়যন্ত্র করেছিল। ২০১৬ সালে তারা কমলেশের মাথার দাম দেড় লক্ষ টাকা ধার্য করেছিল। পাশাপাশি, গুজরাতের সুরাত থেকে ফইজান ইউনুস ভাই, মৌলানা মহসিন শেখ এবং রশিদ আহমেদ খুরশিদ আহমেদ পাঠানকে আটক করেছে উত্তরপ্রদেশ ও গুজরাত পুলিসের যৌথ টিম। খুরশিদই কমলেশ খুনের প্রাথমিক ছক কষেছিল বলে জানা গিয়েছে। এই গ্রেপ্তারির বিষয়ে ডিজিপি ওপি সিং জানান, ঘটনাস্থল থেকে একটি মিষ্টি প্যাকেট পাওয়া যায়। তাতে সুরাতের একটি মিষ্টির দোকানের ঠিকানা ছিল। এরপর গুজরাত পুলিসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় এবং উত্তরপ্রদেশ পুলিসের একটি দলকে সেখানে পাঠানো হয়। তিনি আরও জানান, ওই মিষ্টির দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে ফইজানকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এই খুনের পরই বিভিন্ন মহলে সন্ত্রাস-যোগের উল্লেখ করা হচ্ছিল। যদিও তা খারিজ করে দিয়েছে পুলিস। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে বেশ কিছু বিতর্কিত মন্তব্য করেছিল কমলেশ। তার জেরেই তাঁকে খুন করা হতে পারে বলে প্রাথমিক তদন্তের পর মনে করছে পুলিস। তবে এখনই কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চাইছেন না তদন্তকারী আধিকারিকরা। তাঁদের মতে, বাকি অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে। সকলকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরই গোটা বিষয়টি পরিষ্কার হবে।
এদিকে, গুজরাত থেকে যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে এর আগে কোনও অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার খবর নেই। তবে, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ধৃতদের রিমান্ডে উত্তরপ্রদেশে নিয়ে এসে জেরা করা হবে। অন্যদিকে, এই পাঁচজন ছাড়াও সুরাত থেকে আরও দুজনকে আটক করেন তদন্তকারীরা। এদের মধ্যে একজন হল সুরাত থেকে ধৃত রশিদের ভাই এবং অন্যজন গৌরব তিওয়ারি নামে এক ব্যক্তি। যদিও জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে তাদের উপর নজর রাখা হচ্ছে বলে খবর।